সরকার বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চায় : তরিকুল ইসলাম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘অবৈধ সরকার জাতীয় গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করে গণমাধ্যমের সত্য প্রকাশের অধিকার এবং বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চায়।’

শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ২০ দলীয় জোটের মহানগর ও জেলা শাখার প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বেগবান করতে ২১ থেকে ৩১ আটস্ট পর্যন্ত গণসংযোগ কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে এ প্রতিনিধি সভার আয়োজন করা হয়।

তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার গণতন্ত্র রক্ষায় ওয়াচ ডগের ভূমিকা পালনকারী সব প্রতিষ্ঠান একে একে ধ্বংস করতে চায়।’

সংসদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যে সংসদের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, অধিকাংশ মন্ত্রী বিনা ভোটে নির্বাচিত তাদের মাধ্যমে এসব নীতিমালা ও আইন কানুন জারি হতে পারে না।’

এ সময় তিনি সব বিভেদ, মান-অভিমান ভুলে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের দেশ, জাতি, গণতন্ত্র ও অর্থনীতি রক্ষায় বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্য গড়ে তুলে গণঅভ্যূত্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একদলীয় দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। আর বেগম খালেদা জিয়ার সময় আকাশকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছিল। বিবিসি, সিএনএন চালু করা হয়েছিল।’

প্রতিনিধি সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, মহানগর কমিটির সভাপতি ও খুলনা ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু, অধ্যাপক মাজিদুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মোহাদ্দিস আব্দুল খালেক।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, সাবেক এমপি কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, জামায়াতের মহানগর আমির মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বিজেপি সভাপতি অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, পিপলস লীগের সভাপতি ডা. সৈয়দ আফতাব হোসেন, লেবার পার্টির লোকমান হাকিম, মুসলীম লীগ সভাপতি অধ্যাপক রেজাউদ্দিন, জামায়াতের অধ্যাপক আব্দুল মতিন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই