যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদে জড়িত হয়

দেশের অধিকাংশ ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং উচ্চবিত্তের সন্তানরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস না জানার কারণে জঙ্গিবাদের পথে পা বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান।

এ কারণে দেশের সকল পাবলিক ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের সঙ্গে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের অভ্যুাদয়ের ইতিহাস বিষয় দুটি পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বুধবার সন্ধ্যায় জাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মুক্তি সংগ্রাম নাট্যোৎসব- ২০১৭’র পঞ্চম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা কাদের বিরুদ্ধে এবং কেনো যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের অনেকেই জানে না। কারা আমাদের ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, এবং যুদ্ধের পর স্বাধীন দেশে কারা জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করেছে এসব বিষয়ে তারা জানে না।

ড. আব্দুল মান্নান বলেন, আজ জঙ্গিবাদে দেশ ছেয়ে গেছে। কিন্তু সবাইতো এ পথে যায় না। এখনো অনেক তরুণ আছে যারা যে কোনো বিপদে এগিয়ে আসে। সেসব তরুণদের জন্যই আজকের এই সোনার বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে জাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচ গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।

সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- শিক্ষা ও গবেষণায় অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, গবেষণা ও নগর পরিকল্পনায় অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, ভাষা আন্দোলনে আহমেদ রফিক, পালাকার বিধান চন্দ্র সিনহা এবং মঞ্চনাটকে আলোক কুমার রায় (মরণোত্তর)।



মন্তব্য চালু নেই