মোদির কাছে আত্মসমর্পণের প্রতিযোগিতা চলছে

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘সীমান্তে ফেলানী ঝুলে থাকলে আমাদের দেশের শাসকরা কিছুই বলে না। প্রতিবাদ করে না। এমনকি এর বিচারও দাবি করে না। অথচ তাদের মধ্যে কে আগে নরেন্দ্র মোদির কাছে আত্মসমর্পণ করবে তার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।’

শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাম মোর্চার আয়োজনে তিস্তাসহ সব অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবি ও ভারতের পানি আগ্রাসন ও সরকারের নতজানু নীতির প্রতিবাদে জাতীয় কনভেনশনে তিনি এ কথা বলেন।

সাকি বলেন, ‘কোনো কিছুর দাবিতে যখন বাংলাদেশের মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলে তখন আমাদের দেশের একটি গোষ্ঠী বলে ওঠে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলাটা সাম্প্রদায়িক ব্যাপার। সীমান্তে হত্যা হচ্ছে, ভারত বিদ্যুৎ করিডোর সুবিধা নিচ্ছে, সব কিছুরই তারা সুবিধা নিচ্ছে আর আমরা কিছুই পাবো না। তার বিরুদ্ধে কথা বলা কি সাম্প্রদায়িকতা?’

তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারত আমাদের যতটুকু সহায়তা করেছে তার জন্য আমরা তাদের ৪২ বছর ধরে শুধু দিয়েই যাচ্ছি। তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে কেমন চোখে দেখে তা এখন প্রশ্নের বিষয়। কেননা তারা আমাদের এ ‍যুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ হিসেবে দেখে। ভারত সব সময় চেয়েছে বাংলাদেশ শুধু বন্ধুত্বের মোড়কে আবদ্ধ থাকুক। তাই তারা বন্ধুত্বের মোড়কে শুধু নিয়েই যাচ্ছে। কিছু দিচ্ছে না।’

শাসকরা যারা মনে করেন ভারতকে কিছু দিয়েই তারা ক্ষমতায় থাকবেন। তারা যদি বাংলাদেশের পক্ষে কোনো ধরনের দাবি আদায় করতে না পারেন তবে তাদের ক্ষমতায় থাকার দরকার নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কনভেনশনে বাম মোর্চার প্রধান সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ইয়াসিন মিয়া, আহবায়ক হামিদুল হক, পরিবেশবিদ আব্দুল মতিন, বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মবিনুল হায়দার চৌধুরী প্রমুক।



মন্তব্য চালু নেই