মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাধা পাওয়ার অভিযোগ হাজি সেলিমের

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাধা পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন হাজি সেলিম। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দশম সংসদে আসা আওয়ামী লীগের এই নেতা সোমবার স্পিকারকে বলেছেন, মেয়র প্রার্থী হতে তিনি সংসদ সদস্যপদ ছাড়তে চিঠি দিলেও তা ছিড়ে ফেলা হয়েছে।

তবে কে ছিঁড়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি ক্ষমতাসীন দলের ঢাকা মহানগর কমিটির এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

জাতীয় সংসদের সোমবারের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পূরক প্রশ্ন করতে উঠে দাঁড়িয়ে হাজি সেলিম হাসতে হাসতে বলেন, “হায়রে কপাল মন্দ, চোখ থাকিতে অন্ধ। মাননীয় স্পিকার আপনি যদি আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতেন, তা হলে আমি এখানে থাকতাম না। ঢাকা দক্ষিণে থাকতাম।”

এসময় হাজি সেলিমকে থামিয়ে দিয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী জানতে চান, “মাননীয় সংসদ সদস্য, আপনার পদত্যাগপত্রটি কোথায়?”

“আপনার কাছে,” জবাবে বলেন হাজি সেলিম।

স্পিকার আবার বলেন, “আপনার পদত্যাগপত্রটি কোথায়?”

তখন হাজি সেলিম বলেন, “আপনার কাছেই দিয়েছিলাম। ছিঁড়ে ফেলেছে।”

অধিবেশনে মাগরিবের নামাজের বিরতিতে সংসদের লবিতে সাংবাদিকরা জানতে চান, কে ছিঁড়েছিল তার পদত্যাগপত্র।

“এইডা তো কওন যাইব না,” উত্তরে বলেন পুরান ঢাকার বাসিন্দা এই ব্যবসায়ী।

আইন অনুযায়ী, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সংসদ সদস্যপদ ছাড়তে হয়; যা হাজি সেলিমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। হাজি সেলিম ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদের মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। তবে তা জমা দেননি।

ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সাঈদ খোকনকে সমর্থন দিয়েছে।

সাঈদ খোকনকে সমর্থন দেওয়ার পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতা হাজি সেলিমকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছিলেন বলে গণমাধ্যমের খবর।

এরপর হাজি সেলিম ফেইসবুকে স্ট্যাটাসে জানান, তিনি আজমির শরিফ জিয়ারতে ভারতে যাচ্ছেন। তার সহকর্মীরাও একই কথা জানান।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার পরদিনই আবার দেখা গেল আওয়ামী লীগের এই নেতাকে।



মন্তব্য চালু নেই