ভয়ঙ্কর ভূতের বাড়ি-ঘর

ভয় পায়না এমন মানুষ আছে? তাও যদি হয় ভূতের ভয়। তাহলে তো কথায় নাই। এমনকি যারা ভূত নিয়ে গবেষণা করেন তারাও একাকী রাতে ভূতের ভয়ে ভীত হন। আমরা সবাই ছোটোবেলায় নানা-নানী, দাদা-দাদীর কাছে ভূতের গল্প শুনেছি।

কিন্তু বলতে পারবে ভূত দেখতে কেমন? কেউ কেউ হয়তো কিছু বর্ণনাও দেয়। তবে তারা অশরীরি তাই অনেক রূপে দেখা যায়।  কিন্তু ভূত বা পেত্নী বলে কি আসলেই কিছু আছে? যদি থাকে, তাহলে তারা কোথায় থাকে? এসব জানতে নিশ্চয় খুব ইচ্ছে করছে তাইনা?

ঠিক আছে আজ তোমাদের ভূতের বাড়ি-ঘরের খোঁজ জানাবো। 2vteama ভয়ঙ্কর ভূতের বাড়ি-ঘর

এরকম কথা অনেকে বিশ্বাস করে যারা আত্মহত্যা করে তারাই মরে গিয়ে ভূত হয়। কিন্তু তারা থাকে কোথায়? মানুষ ধারণা করে ভূতেরা সাধারণত ভাঙা পুরানো বাড়ি, গোরস্থান, শ্মশান, বটগাছ, গাব গাছ, শেওড়া গাছ, তাল গাছ, বাঁশ বাগান, বনের পুকুর পাড়ে প্রভৃতি জায়গায় বাস করে। কারণ এই জায়গাগুলোতে মানুষ কম যায়।

অনেকে নিজে দেখেছেন বলেও বিশ্বাস করে এবং সবাইকে সেটা শেয়ার করে।

কিন্তু বিজ্ঞান মনে করে ভূতের অস্তিত্ব নেহাৎ একটি কাল্পনিক ব্যাপার। ভূত দেখার ঘটনা মন বা চোখের বিভ্রম ছাড়া কিছুই না। কোনো জিনিসকে অবিকল যা আছে তা আমরা নাও দেখতে পেতে পারি, যদি আমাদের মন ও চোখ তাকে গুরুত্ব না দিয়ে ভিন্ন কিছু দেখতে বা ভাবতে চায়।

এক ধরনের বিভ্রমকে বলা হয় মতিভ্রম বা মায়া। ইংরেজিতে একে বলে হ্যালুসিনেশন। এই মতিভ্রম যখন ঘটে তখন মনের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে আমরা যা দেখার নয়, তাই দেখে ফেলে। তখন আমাদের মনের ভেতর ভয় এমনভাবে জেঁকে বসে আমরা অন্ধকারে মরা গাছকে একটা রূপে দেখতে পাই।

তাই বন্ধুরা ভূতের গল্প পড়ো, শোনো, অনেক অনেক মজা পাও। কিন্তু ভূতের ভয় পেয়ো না। ভয় থেকে যদি মজা পাওয়া যায় তো মন্দ কী।



মন্তব্য চালু নেই