ভোলায় প্রাণিসম্পদ বিভাগে জনবল সংকট

ভোলায় জেলা প্রাণিসম্পদ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় জনবল সংকটে ধুঁকছে অফিসগুলো। পর্যাপ্ত জনবল সংকটে মাঠ পর্যায়ের ও অফিসিয়াল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে।উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেনারি সার্জনের মত গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন খামারি ও চাষিরা।পদ শূন্য থাকার প্রভাবে জেলা ও উপজেলায় পশুপাখির নিয়মিত টিকাদান, চিকিৎসা, সম্প্রসারণ, কৃত্রিম প্রজনন, গরু মোটাতাজাকরণ ও খামার পরিদর্শন মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে।তবে, সংকট থাকলেও গত ৩ বছর ধরে সম্প্রসারণ ও কৃত্রিম প্রজননে ভোলা জেলা প্রথম স্থান অর্জন করে আসছে বলে প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে।

খামারিদের অভিযোগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অফিসগুলোতে আধুনিক ভবন থাকলেও কার্যক্রম ধীরগতিতে চলছে।জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলা জেলার ৯৯টি খামারে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৯৩৪টি গরু এবং ৯০ হাজার ৮২৭টি মহিষ রয়েছে।অন্যদিকে, জেলায় ৬৮টি লেয়ার, ৭৮২টি বয়লার, ৩৭৭টি হাঁসের খামার, ১৮৮টি ছাগলের খামার ও ৫টি ভেড়ার খামার রয়েছে। বিপুল সংখ্যক পশু পাখির রক্ষণাবেক্ষন ও পরামর্শে জন্য মাঠ পর্যায়ে নিয়জিত কর্মকর্তা কর্মচারীর গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য।জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৯১টি পদের মধ্যে ৩৫টি পদ শূন্য রয়েছে। এরমধ্যে কর্মকর্তার ১৩টি ও কর্মচারীর ২২টি পদ রয়েছে।শূন্যপদগুলোর মধ্যে জেলা কার্যালয়ে একটি ভেটেনারি সার্জন, ২টি অফিস সহকারী, একটি ক্যাশিয়ার ও একটি ড্রাইভারের পদ শূন্য রয়েছে। অন্যদিকে সদর উপজেলা অফিসে একটি ভেটেনারি সার্জন ও একটি অফিস সহকারী পদ শূন্য।

দৌলতখান উপজেলা অফিসে একটি ভেটেনারি, একটি অফিস সহকারী ও একটি কাম্পাউন্ডার পদ শূন্য। বোরহানউদ্দিন উপজেলা অফিসে একটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, একটি ভেটেনারি সার্জন ও একটি ভিএফএ পদ শূন্য। তজুমদ্দিন উপজলো অফিসে একটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, একটি ভেটেনারি সার্জন ও একটি অফিস সহকারী পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য। লালমোহন উপজেলায় একটি ভেটেনারি সার্জন ও একটি অফিস সহকারীর পদ খালি রয়েছে।মনপুরা উপজেলায় একটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, একটি ভেটেনারি সার্জন, একটি অফিস সহকারী, একটি কাম্পউন্ডার, একটি ড্রেসার ও একটি ফিল্ড অ্যাসিস্টেন্ট পদ শূন্য।কর্মকর্তা ও কর্মচারী পদ শূন্য থাকায় জেলার খামারগুলো অবস্থা অনেকটা দুর্দশাগ্রস্ত। দুধ ও মাংস, ডিম উৎপাদন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে খামারিদের।এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার কর্মকার জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারীর শূন্য পদগুলোতে পদায়ন দেওয়ার জন্য আমরা বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তারা পদায়ন দেওয়া আশ্বাস দিয়েছে।তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা সংকট থাকলেও প্রতিবছরই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে। এছাড়া গত ৩বছর ধরে সম্প্রসারণ ও কৃত্রিম প্রজননে ভোলা জেলা প্রথম হয়েছে।

ভোলা



মন্তব্য চালু নেই