ভোটের নিরাপত্তায় নারায়ণগঞ্জে নামছে বিজিবি

ভোটের তিন দিন আগে নারায়ণগঞ্জে ভোটের নিরাপত্তায় আধাসামরিক বাহিনী বিজিবি মোতায়েন হচ্ছে আজ। সব মিলিয়ে বাহিনীটির ২২ প্লাটুন সদস্য মাঠে সক্রিয় থাকবে আগামী পাঁচ দিন। পুলিশ, র‌্যাবের পাশাপাশি এই বাহিনীটির সদস্যরাও মাঠে সক্রিয় থাকবে।

রিটানির্ং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, এই বাহিনীটির সদস্যরা মূলত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। তিনি জানান, নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভোটের পরের দুই দিনও এলাকায় সক্রিয় থাকবে তারা।

আগামী বৃহস্পতিবারের ভোটের নিরাপত্তায় প্রতিটি কেন্দ্রে ২২ থেকে ২৪ জন নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি এই নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানালেও নির্বাচিন কমিশন সেই দাবি নাকচ করেছে। তারা জানায়, পুলিশ, এপিবিএন (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) ও অস্ত্রধারী আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল টিম, নয়টি স্ট্রাইকিং ফো মোতায়েন থাকবে। এগুলো ভোটের নিরাপত্তায় যথেষ্ট হবে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশন।

বিএনপি অবশ্য এখনও সেনা মোতায়েনের দাবিই জানিয়ে যাচ্ছে। বিজিবি মোতায়েনের দিন সকালেও দলের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, এই বাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন হাস্যকর।

সামবার সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগকালে সাখাওয়াত বলেন, ‘আমরা শুনেছি ২২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে তারা স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। এটাকে আমি হাস্যকর বলে মনে করি। স্টাইকিং ফোর্স হলো কোথাও কোন ঘটনার পর তারা সেখানে উপস্থিত হবে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর উপস্থিত হলে সেখানে তো কার্যকর হলো না।’

সাখাওয়াত বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন হলে মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী অবশ্য নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো অবস্থান নেননি। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যা খুশি সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তার আপত্তি নেই। তিনি কোনো ধরনের সুবিধা চান না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই