ভুলে ভরা জীবন থেকে মুক্তি পেতে হলে কি করবেন জেনে নিন

নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারনেই আমাদের অনেকের দ্বারা অনেক ধরণের ভুল কাজ হয়ে থাকে। নিজের আবেগের ওপর, রাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকার দরুন আমরা অনেক সময় এমন অনেক কথা বলে ফেলি বা কাজ করে থাকি যার কারণে পরবর্তীতে আমাদের নিজেদেরকেই পস্তাতে হয়। আর তাই প্রত্যেকের নিজের ওপর এবং নিজের আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা অনেক বেশি জরুরী।

কিন্তু কীভাবে জানবেন আপনার নিজের ওপর আপনার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে কিনা? আপনার আবেগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিনা তা জানলে আপনি নিজেকে কতোটা শোধরানোর প্রয়োজন তা বোঝা যায়। চলুন তবে লক্ষণ দেখে বুঝে নিন আপনার নিজের ওপর কতোটা নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আর যদি নিয়ন্ত্রণ থেকে না থাকে, তাহলে রপ্ত করার চেষ্টা করুন এই ১০টি গুণাবলী। দেখবেন জীবনটা অনেক সহজ হয়ে আসবে, কমে যাবে ভুলের পরিমাণ।

আপনি খুব সহজে রেগে যান না এবং চিৎকার করেন না
খুব সহজে রেগে যাওয়ার অর্থ আপনি সব সময় মানসিকভাবে চাপে থাকেন যার ফলে হুটহাট রেগে যান এবং আপনার মেজাজ বেশীরভাগ সময়েই চড়ে থাকে। আপনি যদি খুব সহজে রেগে না যান তবে আপনার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

নিজের সমালোচনা ভালোভাবেই গ্রহন করতে পারেন
অনেকেই আছেন যারা নিজের সমালোচনা একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। রেগে যান। কিন্তু যারা নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন তাদের মনোভাব হলো নিজের ভালো মন্দ অন্যের সমালোচনা থেকেই বুঝতে পারা সম্ভব হয়।

প্রয়োজনে ক্ষমা চাইতে পারেন
যখন প্রয়োজন এবং যেখানে আপনার ভুল সেখানে নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার মনোমানসিকতা সকলের মধ্যে থাকে না। যারা এই কাজটি করতে পারেন তাদের নিজের মানসিক দৃঢ়তা অনেক বেশি।

নিজেকে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারেন
যে পরিস্থিতিতে যেরকম থাকা প্রয়োজন নিজেকে সেভাবে মানিয়ে নিতে পারার ক্ষমতাও নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকার বেশ ভালো একটি লক্ষণ। এই কাজটি সকলের দ্বারা সম্ভব হয় না।

আপনার চিন্তা ভাবনা সীমাবদ্ধ নয়
আপনি যদি সব ধরনের ঘটনার গভিরতা নিয়ে চিন্তা করার ক্ষমতা রাখেন তবে আপনি মানসিক ভাবে অনেক বেশি শক্ত। আপনি ওপর থেকে দেখেই কোনো মন্তব্য করে বসেন না। অনেক ভেবে চিনতে মন্তব্য করতে পারেন।

আপনি অন্যের কাছ থেকে কম আশা করেন
আশা করা জিনিসটি আবেগের বহিঃপ্রকাশ যার ফলাফল বেশীরভাগ সময় খারাপ হয়। অন্যের কাছ থেকে কম আশা করার অর্থ আপনি নিজের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এবং আপনার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

আপনার কোথায় থেমে যাওয়া উচিৎ আপনি বোঝেন
অনেকেই আছেন কোথায় কোন ধরণের কথা বললে কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে তা একেবারেই বোঝেন না। যারা বোঝেন তারা অনেক ঝামেলা এড়িয়ে চলতে পারেন। যাদের নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তারা জানেন কখন কোথায় কি বলতে হবে এবং কোথায় থামতে হবে।

অন্যের সাহায্য নিতে পিছপা হন না
যারা নিজের নির্দিষ্ট অক্ষমতাকে বুঝতে পারেন তারা সেই সকল ক্ষেত্রে অন্যের সাহায্য নিতে পিছপা হন না। তাদের ইগোর সমস্যা কম থাকে। এবং তারাই আত্মনিয়ন্ত্রিত মানুষ।

অন্য কারো ওপর ইমোশনাললি নির্ভরশীল নন
যারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন তারা অন্য কারো ওপর আবেগিভাবে নির্ভরশীল থাকেন না। আপনি ব্যক্তিগত এবং প্রফেশনাল সম্পর্ক বেশ ভালো করেই সাম্লে নিতে পারেন।

নিজেকে ক্ষমা করে দিতে পারেন
অনেকেই আছেন যারা একবার ভুল করলে তা নিয়ে অনুশোচনা করতে থাকেন এবং নিজে নিজে ভেঙে পড়েন। যারা নিজেকে ক্ষমা করে দিতে পারেন তারাই সামনে এগিয়ে যেতে পারেন। তারাই নিজেদের আবেগ অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।



মন্তব্য চালু নেই