অতীশ ও ভিক্টোরিয়া আকষ্মিক পরিদর্শনকালে শিক্ষাসচিব

‘ভার্সিটি নয় যেন পুরোনো ঢাকার খুপড়ি দোকান’

‘ভার্সিটি নয় যেন পুরোনো ঢাকার খুপড়ি দোকান। হতাশাজনক চিত্র। কম্পিউটার সাইন্সে অনার্স ক্লাসের অবস্থা দেখে মনে হলো গ্রামের যে কোনও স্কুলও এর চেয়ে ভালো। এমন মন্তব্য করেছেন শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুরে আকষ্মিক পরিদর্শনে রাজধানীর পান্থপথের দোকান ও বাসাবাড়ীর মধ্যেই অবস্থিত অতীশ দীপঙ্কর ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ গিয়ে এ করুণ দৃশ্য দেখার পর এমন মন্তব্য করেন। প্রাইভেট ভার্সিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দীর্ঘদিনের, কিন্তু এই প্রথম কোনও শিক্ষাসচিব প্রাইভেট ভার্সিটি আকষ্মিক পরিদর্শনে গেলেন। এখনও পর্যন্ত কোনও মন্ত্রী আকষ্মিক পরিদর্শনে যাননি।

প্রথমে ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখতে পান কম্পিউটার ল্যাবে কোনও সচল কম্পিউটার নেই। মুরগীর খোপের মতো ক্লাসরুম। রুটিনে সবার ক্লাস থাকলেও মাত্র একটি কক্ষে শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে। অশীতিপর উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আর খান (বিখ্যাত ডাক্তার এম আর খান নন) শিক্ষা সচিবের কোনও প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারেননি। কম্পিউটার বিভাগের ১ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র ৫ জন শিক্ষকের নাম খাতায় থাকলেও উপস্থিত পাওয়া গেছে মাত্র ১ জন। কোনও সিনিয়র শিক্ষক নেই। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এটি। কয়েকজন মাস্তানকে দেখা গেল ভাসির্টির মধ্যে। কম্পিউটার ক্লাসে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী যাকেই যে প্রশ্ন করা হয়েছে কেউই কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি।

অতীশ দীপঙ্করের শিক্ষার্থীরাই হতাশার কথা জানালেন সচিবকে। বললেন তারা আতংকে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায় কিনা। এখানেও শ্রেণিকক্ষের একই অবস্থা। ভার্সিটির মধ্যেই আবাসিক ফ্ল্যাট। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীনের স্ত্রী। সরকার দলীয় এমপি ইসলাফিল আলম হঠাৎ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বনে গেছেন চার বছর আগে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আবারও তিনি এসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যাবেন। প্রেসার দিয়ে দিন দিন মান ভালো করানোই সরকারের লক্ষ্য। হঠাৎ কোনও প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়বেন। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে সঠিক পথে আনাই সরকারের কাজ।

পরিদর্শনের এ সময় সচিবের সঙ্গে ছিলেন ইউজিসির একজন উপ-পরিচালক ও শিক্ষা বিষয়ক কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক।



মন্তব্য চালু নেই