বিশ্বসেরা সাকিবের জীবনের সেরা পনেরোটি মুহূর্ত

মাঠে বাংলাদেশকে আনন্দের উপলক্ষ্য কম দেননি সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে কিংবা বোলিংয়ে- দলকে ম্যাচ জেতানো বহু পারফরম্যান্স রয়েছে তার। হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নাম্বার ওয়ান। একত্রিশ বছরে পা দেওয়ার দিনে একটু পেছন ফিরে তাকালাম। বেছে নিলাম দুর্দান্ত সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশের জার্সি গায়ে সেরা পনেরোটি পারফরম্যান্স।

টেস্ট
৫, ৭১, ৭/৩৬, ২/৭৯ বনাম নিউ জিল্যান্ড, ২০০৮

২০০৮ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে দেখা যায় বোলার সাকিব। বলা হয়ে এ ম্যাচেই আবির্ভাব হয় অলরাউন্ডার সাকিব। যে অলরাউন্ডার সাকিব ব্যাটে-বলে ক্রিকেটবিশ্বের এখন রাজত্ব করছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেই অলরাউন্ডার সাকিবের শুরুটা এখান থেকেই।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২৪৫ রানের ছোট্টো পুঁজি নিয়ে লিড ৭৪ রানের। মাত্র ১৭১ রান করে গুটিয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। ৩৬ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। ইকোনমি ছিল মাত্র ১.৩৯। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। ৭১ রানে হারায় ৫ উইকেট। সেখান থেকে দলকে এক শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান সাকিব। ১৫১ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেছেল তিনি। ৩ উইকেটের পরাজয়ের ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে ছিলে দারুণ। ৭৯ রানে শিকার করেছিলেন ২ উইকেট। ইকোনমিটা এবারও চোখে পড়ার মতো, ১.৭৬।

১৬, ৯৬*, ৩/৫৯, ৫/৭০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০০৯

মাশরাফি বিন মুর্তাজার চোটের কারণে অধিনায়কত্বের ভার সাকিবের কাঁধে। বোর্ডের সাথে ক্যারিবিয়ানদের দ্বন্দের জের ধরে অনেক ক্রিকেটার বয়কট করেছে সিরিজ। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ নামে খর্বশক্তির দল নিয়ে। প্রথম ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের ম্যাচে ব্যাটে বলে অসাধারণ ছিলেন সাকিব।

প্রথমে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৩৭ রানে অলআউট করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। ৫৯ রানের বিনিময়ে শিকার করেন তিন উইকেট। প্রথম ইনিংস শেষে ৫ রানে পিছিয়ে থাকে বাংলাদেশ। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ১৬। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন তিনি। ২১৭ রানের লক্ষ্য তারা করতে নেমে ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। দলকে উদ্ধার করেন সাকিব। ১৩ চার আর ১ ছক্কায় ৯৭ বলে ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছিলেন সেদিন।

৮৭, ১০০ বনাম নিউ জিল্যন্ড, ২০১০

২০১০ সালে নিউ জিল্যান্ড সফরে যায় বাংলাদেশ। সফরে টেস্ট ছিল একমাত্র। তখন টেস্ট মানেই যেন নিশ্চিত হার। ফলো অন এড়ানোর তৃপ্তির ঢেকুর সবার মাঝে থাকে। প্রথম ইনিংসে নিউ জিল্যান্ড ৫৫৩ রানের পাহাড় গড়লো। বাংলাদেশ জবাবটাও দিল চমৎকার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শতকের সুবাদে ৪০৮ রান করে বাংলাদেশ। ১০৪ বলে ৮৭ রানের ইনিংস ছিল সাকিব আল হাসানের। ব্যাট চালিয়েছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। হাঁকিয়েছেলেন ১৫ টি চার।

দ্বিতীয় ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ৪০৪ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ যখন হাবুডবু খাচ্ছে তখন দলকে একাই টানেন সাকিব। ১৫ চার আর ৩ ছক্কায় ১২৯ বলে ১০০ রান করেন তিনি। ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে ২৮২ রানে নিয়ে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান সাকিবেরই। ১২১ রানে হারলেও বাংলাদেশের প্রাপ্তি ছিলো সাকিবের অসাধারণ দুইটি ইনিংস।

১৪৪,৬, ৬/৮২, ১/৪৭, বনাম পাকিস্তান, ২০১১

ব্যাটিং কিংবা বোলিং দুবারেই দলের ত্রাণকর্তা হয়ে উঠেছিলেন সাকিব। ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। শাহরিয়ার নাফিসকে সাথে নিয়ে পাকিস্তানের বোলারদের সামাল দেন সাকিব। দলকে ধ্বংসস্তুপ থেকে বের করে আনেন। নাফিসকে

নিয়ে গড়েন ১৮০ রানের জুটি। এরপর মুশফিককে নিয়ে যোগ করেন ৮২ রান। ২৪২ বলে ১৫ চারে ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। নাফিসও খেলেন ৯৭ রানের একটি চমৎকার ইনিংস।

ব্যাটিংয়ে তৌফিক উমরের শতকে বাংলাদেশের ৩৩৮ রান সহজেই পার করে পাকিস্তান। ৪৭০ রান করে অলআউট হয় পাকিস্তান। একাই ৬ উইকেট পান সাকিব।

দ্বিতীয় ইনিংসেও ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ৬ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। ১০৩ রানের লক্ষ্য সহজেই টপকায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের তিনটি উইকেটের দুইটি পান সাকিব। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এক ম্যাচে ১৫০ রান ও ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন এ ম্যাচে।

১৩৭, ৬, ৫/৮০, ৫/৪৪, বনাম জিম্বাবুয়ে ২০১৪

২০১৪ সালটা বাংলাদেশের জন্য ছিলো দুঃস্বপ্নের বছর। ভুলে যাওয়ার মতো অনেক কিছুই রয়েছে সাকিব আল হাসানের জন্য। কিন্তু মনে রাখতে পারেন শুধু এ ম্যাচটার জন্য। হ্যাঁ, এ ম্যাচটা এতোটাই বিশেষ।

প্রথমে ব্যাট হাতে তুলে নেন শতক। ১৩৭ রান করে থামেন। সাকিব-তামিমের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ করে ৪৩৩ রান। বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ের পাঁচ উইকেট তুলে নেন। একদম পাক্কা অলরাউন্ডার যাকে বলে!

দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৮ রান করেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। সাকিব করেন ৬ রান। কিন্তু বোলিংয়ে এসে আবারো জ্বলে উঠেন। এবারও তুলে নেন পাঁচটি উইকেট। ১৫১ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। একই ম্যাচে শতক ও দশ উইকেট নিয়ে নাম লেখান ইয়ান বোথাম-ইমরান খানদের মতো কিংবদন্তীদের পাশে।

২১৭, ০ বনাম নিউ জিল্যান্ড, ২০১৭

ম্যাচটি ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাট হাতে সাকিব আল হাসান ছিলেন অসাধারণ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ৫৯৫ রান। এর ৩৫৯ রানই আসে সাকিব-মুশফিকের জুটি থেকে।

ব্যাট হাতে ২১৭ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে হাঁকান ডাবল সেঞ্চুরি। ৩১ চারে ২১৭ রান করে হন টেস্টে এক ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

যদিও দ্বিতীয় ইনিংসটা তেমন সুখকর হয়নি সাকিবের জন্য। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরত যান সাজঘরে।

১১৬, ১৫, ২/৮০ ৪/৭৪ বনাম শ্রীলঙ্কা, ২০১৭

শততম টেস্টে বাংলাদেশেয় জয়ে অনেক অবদান ছিলো সাকিবের। তার ব্যাটিং ও বোলিং পারফরম্যান্স ব্যবধান গড়ে দেয়। প্রথম ইনিংসে ৩৩৮ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ২ উইকেট শিকার করেন সাকিব।

ব্যাট হাতে নেমে দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে এসে ব্যাট হাতে খেলেন বেশ কিছু খ্যাপাটে শট। কিন্তু জীবন পেয়ে একদম বদলে ফেলেন খেলার ধরণ। ঠান্ডা মাথায় হাঁকান শতক। আবারো প্রমাণ করেন কেনো তিনি নাম্বার ওয়ান। ১১৬ রান করেন তিনি।

দ্বিতীয় ইনিংসেও শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডারকে ভেঙে দেন সাকিব। ৪ টি উইকেট শিকার করেন তিনি।

ওয়ানডে

১৩৪*, ২/৩৬ বনাম কানাডা, ২০০৭

২০০৭ সালে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে কানাডার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। মাত্র ৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। কানাডার সাথে পরাজয়ের শঙ্কা জেগে উঠে। সেই শঙ্কা দূর করেন সাকিব। ১৫২ বলে ১৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে নিরাপদে স্থানে নিয়ে যান তিনি। ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৪ চারে।

বোলিংয়ে এসেও উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। ১০ ওভারে মেডেন নেন একটি। ৩৬ রান দিয়ে পান দুইটি উইকেট।
৯২* বনাম শ্রীলঙ্কা, ২০০৯

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম জয়ের নায়ক সাকিব আল হাসান। ৩১ ওভারের সে ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৪৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিলো শ্রীলঙ্কা। বোলিংয়ে ৬ ওভারে ২৪ রান দিয়েছিলেন সাকিব।

আলো ছড়ান ব্যাট হাতে। ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন বাংলাদেশ হাবুডুবু খাচ্ছে তখন শ্রীলঙ্কার বোলারদের শাসনের দায়িত্ব নেন সাকিব। ৬৯ বলে ৯২ রানের ঝড়ো ইনিংসে জয় পায় বাংলাদেশ। নিশ্চিত করে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল। ম্যাচসেরার পুরষ্কারটাও উঠেছিল তার হাতে।

১০৫, ১/২৪ বনাম জিম্বাবুয়ে, ২০০৯

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের সিরিজ। প্রথম ওয়ানডেতে হারের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সাকিবের শতকে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ। বল হাতে ৯ ওভারে ২৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন তিনি। পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন রাজ্জাক।

ব্যাটিংয়ে এসে ৫৬ রানেই তিন উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। ব্যাট হাতে নেমে ১০৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাকিব। ১৫ চার আর ৩ ছক্কায় ৬৯ বলে ১০৫ রান করে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।

১০৬, ৩/৫৪ বনাম নিউ জিল্যান্ড, ২০১০

২০১০ সালে নিউ জিল্যান্ড সিরিজ বাংলাদেশের এক সুখস্মৃতি। ৪-০ তে ব্ল্যাকক্যাপসদের ধবলধোলাই করেছিল টাইগাররা। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে ১০৬ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন সাকিব। ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ পথ দেখায় সাকিবের ব্যাট।বোলিংয়েও ছিলেন দুর্দান্ত। ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট শিকার করেছিলেন তিনটি উইকেট। সাকিবের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের সুবাদে জয় পায় বাংলাদেশ।

৪৯, বনাম ভারত ২০১২

স্কোরকার্ড বোঝাতে পারবে না এ ম্যাচে সাকিবের অবদান। এশিয়া কাপে সাকিবের ৪৯ রানের ইনিংসের চেয়ে ওয়ানডেতে তার বড় ইনিংস রয়েছে ঢের। কিন্তু এ ইনিংসের প্রভাব অনেক।

শচীনের শততম শতকের ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিলো ২৯০। সাকিব যখন নামেন তখন ৯৭ বলে ১৪৪ রান দরকার ছিলো বাংলাদেশের। সাকিব টিকেছিলেন মাত্র ৯ ওভার। সেই ৯ ওভারে রান উঠেছিল ৬৮। এর মধ্যে ৪৯ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। ৩১ বলে ৪৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে যান তিনি।

১০১, ৪/৪১ বনাম জিম্বাবুয়ে, ২০১৫

৩১ রানে বাংলাদেশের নেই তিন উইকেট। অন্যদিনগুলোর মতোই হাল ধরলেন সাকিব। তুলে নিলেন শতক। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ রান করলো ২৮১। ১০ চারে ৯৯ বলে ১০১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন সাকিব।

বোলিংয়েও জ্বলে উঠেন আপন আলোয়। ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ৪ টি উইকেট তুলে নেন তিনি। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এক ওয়ানডেতে শতক ও ৪ উইকেট নেন তিনি।

টি-২০

৮৪, ০/২৩ বনাম পাকিস্তান, ২০১২

ব্যাট হাতে বাংলাদেশ এক ঝড়ো সূচনা উপহার দিয়েছিলেন দুই ওপেনার তামিম ও আশরাফুল। তবে ওপেনারদের বিদায়ের পর হাল ধরেন সাকিব। ৫৪ বলে করেন ৮৪ রান। হাঁকান ১১ টি চার ও ২ ছক্কা। তার ইনিংসের সুবাদে বাংলাদেশ করে ১৭৫ রান।

বোলিংয়ে উইকেট না পেলেও সাকিব ছিলেন বেশ কিপ্টে। অন্যান্য বোলারদের ওপর ঝড় চালিয়ে ৮ উইকেটে জিতে নেয় পাকিস্তান। অথচ সাকিব ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দেন।
৩২, ২/২১,বনাম শ্রীলঙ্কা ২০১৬

৫৪ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচটাকে একদম নিজের করে নিয়েছিলেন সাব্বির। কিন্তু ম্যাচটিতে জয়ে সাকিবেরও অবদান ছিল ব্যাপক। ২৬ রানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশকে উদ্ধার করে সাব্বির আর সাকিবের জুটি। ৩৪ বলে ৩২ রান করে ফেরেন সাকিব।

বোলিংয়ে বেশ কার্যকর ছিলেন তিনি। ৪ ওভারে রান দেন মাত্র ২১। উইকেট তুল নেন দিলশান ও ম্যাথিউসের।

তিন উইকেট পতনের পর পাঁচে নেমে দলের সব চাপ প্রতিপক্ষের ওপর ঢেলে দেওয়া মানুষটার নাম সাকিব আল হাসান। দলকে উদ্ধার করেছেন বহুবার। ভাসিয়েছেন আনন্দের বন্যায়। সামনের দিনগুলোতে আরো এমন পারফরম্যান্স উপহার দিন সাকিব



মন্তব্য চালু নেই