বিরক্তিকর গলা ব্যথার ঘরোয়া প্রতিকার

সাধারণত গলা ব্যথা হচ্ছে ঠান্ডার একটি প্রাথমিক লক্ষণ। এছাড়াও ভোকাল কর্ডের সমস্যাজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে বা আরো মারাত্মক কোন সমস্যা যেমন- স্ট্রেপ থ্রোট এর কারণেও হতে পারে গলা ব্যথা। বোস্টনের ব্রিগহ্যাম এন্ড ওমেন্স হসপিটালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ জেফ্রি লিন্ডার বলেন, “গলা ব্যথা শুরু হলে এর কারণ অনুসন্ধানের চেয়ে এই ব্যথা কমানোর উপায় নিয়েই চিন্তা করা হয় প্রথমে। আপনি হয়তো ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য উদ্যোগী হবেন। কিন্তু ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমেই গলা ব্যথা নিরাময় করা সম্ভব”। গলা ব্যথার ঘরোয়া প্রতিকারের বিষয়ে জানবো এই ফিচারে।

১। লবণ পানি দিয়ে গার্গল করা

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে গলা ব্যথা কমে, মিউকাস পাতলা হয় এবং সংক্রমণ সৃষ্টিকারী জীবাণু বাহির হয়ে যায়। ডাক্তাররা সাধারণত বলে থাকেন ১ কাপ উষ্ণ পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করার জন্য। প্রতি ৩ ঘন্টা পর পর কুলকুচি করলে গলা ফোলা কমতে সাহায্য করবে।

২। মেন্থল

মেন্থল সুপরিচিত এর নিঃশ্বাসের সুগন্ধ সৃষ্টিকারী গুণের জন্য। পিপারমেন্ট অয়েল সমৃদ্ধ স্প্রে গলা ব্যথা কমতে সাহায্য করে। মিউকাসকে পাতলা করতে এবং কাশি ও গলা ব্যথা কমতে সাহায্য করে মেন্থল। ২০০৮ সালের এক গবেষণায় জানা যায় যে, পিপারমেন্ট এর অ্যান্টিইনফ্লামেটরি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান আছে, যা নিরাময় প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করে।

৩। বেকিং সোডা

লবণ পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে গারগল করলে গলা ব্যথা কমতে সাহায্য করে। এই দ্রবণটি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে এবং ইস্ট ও ছত্রাকের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে পারে।

৪। মধু

গলা ব্যথা উপশমের জন্য চায়ের সাথে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন অথবা শুধু মধু খেতে পারেন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, সাধারণ কফের ঔষধের চেয়ে মধু রাতের বেলার কাশি নিরাময়ে অনেক বেশি কার্যকর। অন্য আরেকটি সমীক্ষায় জানা যায় যে, মধু ক্ষত নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী, অর্থাৎ গলা ব্যথার দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে মধু।

৫। পুষ্টিকর খাবার

যে কোন ইনফেকশন থেকে উপশম লাভের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিৎ। ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, জিংক ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার এবং ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপিত করতে পারে এমন খাবার যেমন- ব্রোকলি, গাজর, ফুলকপি ইত্যাদি বেশি বেশি গ্রহণ করুন। এর ফলে শরীরের দুর্বলতা দূর হবে এবং নিরাময় প্রক্রিয়ার গতিও বৃদ্ধি পাবে।

৬। পানি

গলা ব্যথার সাথে জ্বর থাকতে পারে। যার ফলে শরীরে পানিশুন্যতা দেখা যেতে পারে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং তরল খাবার বেশি করে খান।



মন্তব্য চালু নেই