বাসর ঘর থেকে নববধুর লাশ উদ্ধার ॥ স্বামী আটক

নাটোরের সিংড়ায় বাসর ঘর থেকে মরিয়ম খাতুন হীরা নামে এক নববধুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নববধুর স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করা হয়েছে।

সিংড়া থানার এস আই আবু তাহের জানান, সিংড়া উপজেলার ঢাকঢোর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের মেয়ে নাটোর নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী মরিয়ম খাতুন হিরার সাথে তার সহপাঠি পাশ্ববর্তী গোয়ালবাতান গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বৃহস্পতিবার নাটোর কোর্টে জাহাঙ্গীর ও হীরার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা হিরার বাড়িতেই অবস্থান করে।

শুক্রবার সকালে হিরা বাসর ঘর থেকে বের না হওয়ায় ডাকাডাকির এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন বাসর ঘর থেকে হিরার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে দুপুরে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নববধু হীরার পিতা হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

এলাকাবাসী জানায়, প্রেমের সম্পর্ক ধরে মাঝে মধ্যেই জাহাঙ্গীর মরিয়মদের বাড়িতে যাওয়াত করত। বৃহস্পতিবার সকালে জাহাঙ্গীর মরিয়মের সাথে দেখা করতে তাদের বাড়িতে যায়। এ সময় মরিয়মের পরিবারের লোকজন জাহাঙ্গীরকে আটক করে জোরপূর্বক দু’জনকে নাটোর জজকোর্টে নিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে পড়িয়ে দেয়। মরিয়মদের বাড়িতে তাদের দু’জনের বাসর ঘরের ব্যবস্থা করা হয়। জোর পূর্বক বিয়ে দেওয়া নিয়ে রাতে জাহাঙ্গীরের সাথে মরিয়মের ঝগড়া হয়। সকালে ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেচানো মরিয়মের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মরিয়মের বাবা হুমায়ুন কবির বলেন, রাতে জাহাঙ্গীর তার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার কথা প্রচার করছে। আর জাহাঙ্গীর হত্যার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, জোর করে বিয়ে পড়ানো নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের কোন একসময় অভিমানে মরিয়ম গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। ঘুমিয়ে থাকায় তিনি বিষয়টি টের পাননি।



মন্তব্য চালু নেই