ফরিদপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্বের ন্যায় স্বয়ংকৃয়ভাবে সকলের সাথে একযোগে বেতন স্কেুল কার্যকর করার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে সোমবার সকালে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফরিদপুর সদর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন। সকালে ফরিদপুর সদর উপজেলা চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফরিদপুর সদর শাখার সভাপতি এ. কে. ইউসুফ আলী ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সহ-সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান।

এসময় সদর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষিকা উপস্তিত ছিলেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, শিক্ষক কর্মচারীরা ১৯৯৭, ২০০৫ ও ২০০৯ সালের যথাক্রমে ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হওয়ার দিন থেকেই সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে একই দিনে এক যোগে বেতন স্কেল ভোগ করে আসছেন।

গত ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে ৮ম বেতন কমিশন কর্তৃক পেশ কৃত রিপোর্টে বেসরকারিদের সাথে একই দিনে একযোগি এম পি ও ভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিদের ক্ষেত্রে এই স্কেল ৬মাস পরে কার্যকর করার সুপারিশ করা হয়েছে জানতে পেরে শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। রিপোর্ট পেশ করার দিন থেকেই শিক্ষক সমাজ এর তীব্র প্রতিবাদ করে ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্বের ন্যায় স্বয়ংকৃয়ভাবে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে এক যোগে বেতন স্কেল কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফরিদপুর সদর শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম সূচীর অংশ হিসাবে আজ সদর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন করেছি। আগামী ২২জানুয়ারী জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করবেন।

১ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের সুস্পষ্ট ঘোষনার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন এবং পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করবে কেন্দ্রীয় কমিটি।



মন্তব্য চালু নেই