প্রেমের টানে আপন চাচার হাত ধরে ঘর ছাড়ল ভাসতি

গভীর প্রেমের টানে লাবলু (২২), সম্পা (১৮) রাতের আধাঁরে অজানার পথে নিরুর্দ্দেশ হয়েছে বলে জানা গেছে। লাবলু ও সম্পার সম্পর্ক আপন চাচা ভাসতি। যাবার সময় সম্পা তার মা বাবাকে চিরকুটে লিখেছেন, আমাদের এ সম্পর্ক তোমরা ও সমাজ কোন দিনই মেনে নেবে না জানি, তাই সারা জীবনের জন্য চলে গেলাম। মা আমার পেটে বাচ্চা। পারলে মাফ করে দিও।

লাবলু বি এ পাশ করে ঢাকায় একটি বেসরকারী সংস্থায় চাকুরী করেন। সম্পা কুড়িগ্রামের একটি কলেজে ডিগ্রী বি এ ক্লাসের ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউপির মনমতপুর গ্রামে। লাবলুর বাবা মফিজ উদ্দিন ৫ বছর আগে মারা গেছেন। সম্পার মা রেহানা বেগম ও বাবা সোলেমান আলী এ ঘটনায় হতবিহবল হয়ে পরেছেন।

তাদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা জানান। তবে সংশ্লিষ্ট ওর্য়াডের মেম্বার ও মনমতপুর গ্রামের একাধিক সূত্রে জানায়, সম্পা ও লাবলুর সর্ম্পক ৪-৫ব ছর ধরে। বিষয়টি তাদের পরিবারের সবাই জানতো। গোপনে বহুবার বিচার করা হয়েছিল। সম্পার বিয়ে অন্য ছেলের সঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি প্রথমে গোপন রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে পরিবারের এক মহিলা ফাঁস করে দেয়।

লাবলুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সম্পা তার সঙ্গে আছেন এবং এফিডেফিট করে তাদের বিয়ে হয়েছে বলে জানান। কি ভাবে নিজের ভাসতিকে বিয়ে করলেন? উত্তরে লাবলু বলেন হাবিল কাবিল কি ভাবে তার নিজের ছোট বোনকে বিয়ে করেছিল। আমরা তো সেই আদমের বংশধর । দোষের কি হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই