প্রেমিকার বয়স কম? সমাধান জেনে নিন

যদি প্রেমিকার বয়সের পার্থক্য ৫ বছরের বেশি হয়, তবে সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে বিশেষ কয়েকটি বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। বয়সের ব্যবধানে অনেক বিষয় স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। এখানে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এমনই ছয়টি বিষয়ের কথা।

সমবয়সী বলে মনে করুন : জ্ঞানের গভীরতা এবং যুক্তি-তর্কের বিষয়ে ৫ বছরের ছোট প্রেমিকাকে অনেক সময়ই অপরিপক্ক বলে মনে হবে। কিন্তু এ বিষয়টি ঘন ঘন তুলে ধরবেন না। ছোট বয়সের মেয়েরা আহ্লাদ বা ন্যাকামি একটু বেশিই করেন। এতে বিরক্ত হবেন না। বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ দেখাতে হবে। এসব বিষয়ে সিরিয়াস হলে চলবে না।

অর্থের গরম দেখাবেন না : যেহেতু আপনি বয়সে বেশ বড়, কাজেই উপার্জন আপনার বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই জন্য প্রেমিকার কাছে টাকার গরম দেখাবেন না। অথবা প্রেমিকা কর্মজীবী হলে তার উপার্জনকে খাটো করে দেখবেন না। আর তরুণ প্রেমিকের সঙ্গিনী যদি হন কলেজ-পড়ুয়া মেয়ে, তবে তার কাছে অর্থের ভাব দেখানোর কোনও অর্থ নেই। এর দ্বারা সাময়িক সময়ের জন্যে মেয়েদের আকর্ষণ করা যায়। কিন্তু সত্যিকার ভালোবাসায় অর্থের বিষয়টি অর্থবহ নয়।

আগের সম্পর্কের কথা লুকাবেন না : যদি আগেও কোনও সম্পর্ক থেকে থাকে, তবে কম বয়সী প্রেমিকার কাছে তা গোপন রাখার চেষ্টা করবেন না। পরে প্রকাশ পেলে আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে তার ভুল ধারণা তৈরি হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার সময়ই আগের সম্পর্কের কথা জানিয়ে নেওয়া উচিত।

অনধিকার চর্চা করবেন না : কম বয়সী প্রেমিকার সঙ্গে জেনারেশন গ্যাপ খুব বড় কোনও সমস্যা না হলেও এর ভুমিকা রয়েছে। এই ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই কম বয়সীকে একটু বেশি সুযোগ দিতে হবে। তার চাওয়া-পাওয়া এবং পাগলামিতে নাক গলালে চলবে না। পরে অবশ্য অতিরিক্ত কিছু নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। কিন্তু ন্যুনতম অধিকার খর্ব করলে হিতে বিপরীত হবে।

সামাজিক দৃষ্টিকোণ একটু শিথিল করুন : বিশের কোঠায় আপনি সারাদিন ফুর্তি করে বেরান। তিরিশের কোঠায় কোনও ক্লাবে বসে থাকতে চান। আর চল্লিশের কোঠায় তো মুখে সিগার নিয়ে জ্যাজ মিউজিক শোনার সময়। কিন্তু কম বয়সী প্রেমিকা যখন সঙ্গে রয়েছেন, তখন বয়সটাকে একটু পিছিয়ে নিতে হবে। হাসি-আনন্দে মেতে উঠুন। দূরে ঘুরতে চলে যান।

ভারসাম্য আনুন : মতের দ্বন্দ্ব বা ঝগড়া হলে আপনাকেই ভারসাম্য আনতে হবে। কম বয়সী মেয়েরা এক্ষেত্রে আপনার দিক থেকেই প্রথম পদক্ষেপটি দেখতে চাইবেন। তাদের এই চাওয়ার মূল্য দিতে হবে। প্রেমিকার ভুল থাকলেও যে আপনার জিততেই হবে, এমন কোনও কথা নেই। প্রথম চোটেই মিল-মহব্বত করে ফেলুন। একে অযথা পরের স্তরে টেনে নিয়ে যাবেন না। প্রথম কয়েক বছর মেয়েটির মধ্যে পরিপক্কতা নাও আসতে পারে। কিন্তু এরপর আপনার মতের সঙ্গে ঠিকই মানিয়ে নেবে৷



মন্তব্য চালু নেই