দেহের জ্বালা মনের জ্বালা মিটাইতে ১ সন্তানের জননী যুবকের হাত ধরে উধাও

নোয়াখালী সদর উপজেলায় যুবকের হাত ধরে উধাও ১ সন্তানের জননী উপজেলা সল্যাঘটাইয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে সুধারাম মডেল থানায় স্বামীর অভিযোগে জানা যায় বিগত ২০১২ ইং সালে নোয়াখালী সুধারাম থানাধীন ৬নং নোয়াখালী ইউনিয়নের সল্যাঘটাইয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে আমির হোসেন ফজলুর সহিত একই উপজেলার সুধারাম থানাধীন ৪নং কাদির হানিফ ইউনিয়ন রাজারামপুর, সাকিনের আতাউর রহমানের মেয়ে আফরোজা বেগম এর সহিত মুসলিম শরাশরীয়তের বিধান মোতাবেক তাদের শুভ বিবাহ হয়।

দাম্পত্য জীবনের আচার আচরণের ফলে তাদের ঔরষে ১টি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। জানা যায় বিবাহ করার পর হইতে আফরোজা বেগম সে তার স্বামী কিংবা তার শশুর, শাশ্বড়ীর অবাধ্য, সে তার নিজ মোবাইল ফোনে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিবাহের পর হইতে আফরোজা বেগম পর পর আরো দুইবার দেহের জ্বালা মনের জ্বালা মিটাইতে যুবকের হাত ধরে স্বামীর ঘর হইতে পালিয়ে বাহিরে রাত্রি যাপন করে।

যাহা আফরোজা বেগম এর মাতা পিতা ও ভাইদেরকে অবহিত করা হয়। আফরোজা বেগমের স্বামী তাহার সংসার ও একমাত্র কন্যা সন্তানের কথা চিন্তা করিয়া আফরোজা বেগমের সহিত ঘর-সংসার করিতে থাকে। পরবর্তীতে জানতে পারে আফরোজা বেগম বিবাহের পূর্বে পরকীয়া প্রেমের আবদ্ধ ছিল।

যাহা বিবাহের সময় তাহার বাবা-মা ভাইয়েরা গোপন রাখিয়াছে অভিযোগে আরো জানা যায় আফরোজা বেগম তার স্বামী, শশুর, শাশুড়ী কথা অমান্য করিয়া যখন তখন ঘর হইতে বাহির হইয়া কোথায় চলিয়া যায়। উক্ত বিষয়ে শাসন বারণ করতে গেলে আফরোজা বেগম স্বামীর পরিবারের লোকজনকে তাহার পরকীয়া প্রেমিকের হুমকি ধমক দেয়।

২০১৫ সালের ১১ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কাউকে কিছু না বলিয়া স্বামীর ঘর হইতে মৎস্য খামারের ব্যবসার ২,২০,০০০/- টাকা ও তাহার ব্যবহৃত ৩ ভরি স্বর্নালংকার ও শাশুড়ীর ২ ভরি অলংকার সহ মোট ৫ ভরি স্বর্নালংকার নিয়া পরকীয়া প্রেমের টানে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। স্বামীর পক্ষের লোকজন সম্ভাব্য স্থানে খোঁজখুঁজি করে পাওয়া যায় নাই।

আরো জানা যায় স্বামীর পরিবারের লোকজন ফর্দানশীল হয়। সংসারের কেউ কারো সাথে ফর্দার আড়াল হওয়া ছাড়া কেউ কারো সাথে দেখা কিংবা কথাও বলেনা। এই আলেম পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করায় আফরোজা বেগমকে তাহার স্বামী আমির হোসেন ফজলু তালাক প্রদান করে।

উক্ত তালাক নামা সুত্রে জানা যায় আপনি এফিডেভিট গ্রহীতা আফরোজা বেগম এর সহিত দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা কালীন ও সময়ে এফিডিভিট দাতা দেখিতে পাই যে, আপনি এফিডেভিট গ্রহীতা পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত এবং আপনি বিভিন্ন সময়ে উশৃঙ্খল জীবন যাপন ও আপনার ইচ্ছামত চলাফেরা করেন। আপনি আমার সহিত খারাপ আচরণ করেন। আপনি আমাকে স্বামী হিসেবে মানিতে রাজী নহে। আমার পিতা, মাতা, ভাই বোন ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে খারাপ আচার আচরণ করিয়া থাকেন।

আপনি আমার পরিবারের সদস্যগণের সহিত আচার আচরণের বিষয়ে আপনার অভিভাবকগনকে অবহিত করিলে আপনি এফিডেভিট গ্রহিতার পরিবারের সদস্যগণের পক্ষ থেকে কোন সদূত্তর পাওয় যায় নাই। ১১ জুলাই সন্ধ্যা জনৈক ব্যক্তির সহিত আমার ঘর হইতে নগদ ২,২০,০০০/- লক্ষ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণলংকার নিয়া আমার ঘর হইতে চলিয়া যান।

এর পূর্বে আরও ২/৩ বার আপনি আমার ঘর হইতে বাহির হইয়া যান। কিন্তু সন্তানের কথা চিন্তা করিয়া আপনার সকল অপরাধ মানিয়া নিয়া ভবিষ্যত সুখের আশায় সংসার করিতে থাকি। তারপরও আপনি সংশোধন হন নাই। আমি আমির হোসেন ফজলু আপনি আফরোজা বেগমকে আমার সহিত সুন্দর ভাবে, সামাজিক আদাপ- কায়দা ও ইসলামী রীতিনীতি মেনে সংসার জীবন যাপন করার জন্য বহুবার অনুরোধ করেও ব্যর্থ হই।

এমতাবস্থায় আমি চিন্তা ভাবনা করিয়া দেখিলাম আপনি আফরোজা বেগম এর সহিত আমার দাম্পত্য জীবন সুখের হবে না। তাই ৩ জন স্বাক্ষীগনের উপস্থিতিতে আপনি আফরোজা বেগমকে এক তালাক! দুই তালাক!! তিন তালাক!!! ও তালাকে বাইন উচ্চারণ পূর্বক আপনাকে তালাকে বায়েন প্রদান করিলাম এবং আপনি আফরোজা বেগম এর সহিত আমার সকল দাম্পত্য জীবন ছিন্ন করিলাম আমার জজিয়ত হইতে আপনি এফিডেভিট গ্রহিতাকে সম্পূর্ণ মুক্ত করিয়া দিলাম। অদ্য হইতে আপনি আফরোজা বেগম আমার স্ত্রী নহে।

আমিও আপনার স্বামী নহে। ভবিষ্যতে আপনি এফিডেভিট গ্রহিতা আমাকে আপনার স্বামী হিসাবে দাবী করিতে পারিবেন না। করিলেও তাহা সর্বাদালতে অগ্রাহ্য ও অরক্ষনীয় বলিয়া বিবেচিত হইবে। অত্র তালাকের ফটোকপি ১৯৬১ইং সনের মুসলিম পারিবারিক আইনের ৭ ধারার বিধান মোতাবেক নোটিশ হিসাবে গন্য হইবে। অত্র তালাকের এফিডেভিট বাংলাদেশের প্রচলিত সর্ব আইন আদালতে বলবৎ থাকিবে।

এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র তালক সংক্রান্ত এফিডেভিটের মর্ম অবগত হইয়া নিজ নাম সহি সম্পাদন করিয়া দিলাম। গতকাল আফরোজা বেগমের পরিবারের লোকজনের পক্ষ থেকে শশুর বাড়ীর লোকজনকে মিথ্যা মামলার দিয়ে আলেম পরিবাবের সম্মান ক্ষুন্ন করাবে বলে হুমকি ধমক অব্যহত রয়েছে বলে জানান আমির হোসেন ফজলু।



মন্তব্য চালু নেই