তিন বছরের সৎ মেয়েকে জলে ডুবিয়ে মারল বাবা, দেখুন হাড় হিম করা ভিডিও

নিজের সন্তানের প্রতি কতটা নির্মম হতে পারেন একজন বাবা! মেক্সিকোর মিচোয়াকান শহরের জোস ডেভিড এন নামের এক ব্যক্তি যেন নির্মমতার সমস্ত মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি নিজের তিন বছরের কন্যা সন্তানকে সুইমিং পুলে ডুবিয়ে মেরেছেন ঠান্ডা মাথায়। সেই অমানবিকতার ছবি ধরা পড়েছে হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরায়।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, নিজের সৎ মেয়েকে বারবার পুলের জলে ছুঁড়ে ফেলছেন জোস। মেয়েটি সাঁতার জানে না, তাই অসহায়ভাবে হাত-পা ছুলের মধ্যে। কিন্তু জোস নির্বিকার। তিনি নিশ্চিন্তে হেঁটে বেড়াচ্ছেন পুলের চারপাশে। কখনও বা একেবারে চলেই যাচ্ছেন ক্যামেররা ফ্রেমের বাইরে। এমনকী, এমনও দেখা গিয়েছে যে, চুলের মুঠি ধরে জলের নীচে মেয়েকে চেপে ধরে রাখছেন জোস। মেয়েটি যখন বাঁচার জন্য আকুলি-বিকুলি করছে, কোনওরকমে ভেসে থাকার শেষ চেষ্টা করছে, তখন আলগা ভাবে একটা লাইফবয় ভাসিয়ে দিলেন জোস। কিন্তু ছোট্ট মেয়েটি তার নাগালও পেল না।

এইসব কাণ্ড যখন ঘটছে তখন মেয়েটির মা, যিনি পেশায় একজন নার্স, ঘুমোচ্ছিলেন নিজের ঘরে। পরে স্বামীর সঙ্গে আবার পুলের ধারে বেড়াতে গিয়ে তিনি দেখতে পান নিজের মেয়ের নিথর দেহটি। প্রথমটা কিছুই বুঝতে পারেননি তিনি। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয়।

২০১৫ সালের ১২ অগস্ট ঘটে এই ঘটনা। সিসিটিভি ফুটেজটি সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় পড়ে যায় সারা দেশে। পুলিশ জোসকে গ্রেফতার করতে সময় নেয়নি। আদালতেও ওই সিসিটিভি ফুটেজটিই ব্যবহৃত হয় জোসের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে। বিচারকরা জোসকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং জোসকে ‘মানবতার কলঙ্ক’ বলে ঘোষণা করেন। শাস্তি হিসেবে তাঁকে ১০০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।

কিন্তু কেন এমন ভয়াবহ অপরাধ করলেন জোস? তা স্পষ্ট নয়। তাঁর স্ত্রীয়ের বক্তব্য, সম্ভবত তাঁর প্রথম স্বামীর ঔরসজাত সন্তানকে সহ্য করতে পারতেন না। তারই পরিণামে জোস হত্যা করলেন একটি তিন বছরের শিশুকে।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন



মন্তব্য চালু নেই