জিয়াকে ধরলেই সব রহস্য বেরিয়ে আসবে

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান জিয়াকে ধরলেই সব খুনের রহস্য বের হয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, ‘জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না কেন? কারণ তাকে গ্রেপ্তার করলেই সরকারের সব খুন, গুম হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে।’

নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর বালুর মাঠে ২০ দল আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ কথা বলেন।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘তাকে গ্রেপ্তার না করলে গুপ্তহত্যা বন্ধ হবে না।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আমাদের সময় র‌্যাব গঠন করা হয়েছিল। তখন তারা ভালো কাজ করেছিল। দেশে এবং বিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছিল। সেই র‌্যাব এখন হয়ে গেছে খুনি।’ বলেন খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আড়ালে রাখতে লোক দেখানো কয়েকজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কিন্তু আসল যে লোক আছে সে এখনো পর্দার অন্তরালে রয়ে গেছে। কে সেই লোকটি? তিনি কে? তিনি র‌্যাবেরই একজন। তার নাম হলো কর্নেল জিয়া (জিয়াউল আহসান)। এই কর্নেল জিয়াকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না?’ অবিলম্বে জিয়াকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে, দাবি করেন খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, ‘আমার সাথে সরকারি অফিসাররা দেখা করলে চাকরি যায়। কিন্তু জিয়াকে কেন চাকরিতে রাখা হয়েছে? অবিলম্বে তাকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। জেলে নিয়ে বিচার করতে হবে। এর সাথে যারা জড়িত তাদেরকেও ধরতে হবে।’

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, অর্থ সম্পাদক আবদুস সালাম, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, এলডিপি সভাপতি অলি আহমেদ, বিজেপি সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তফা জামান হায়দার, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানী, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্তজা, ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান আবদুল মোবিন, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, মুসলিম লীগ সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান খান, বিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দীন মনি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মহিউদ্দীন ইকরাম, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমান, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, পিপলস লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব হোসেন প্রমুখ।এছাড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাজিব, সোনারগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আযহারুল হক মান্না প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



মন্তব্য চালু নেই