চুরির পুরো টাকাই ফিরিয়ে আনা সম্ভব

নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ চুরির বিষয়ে আর কোনো বিভ্রান্তি নেই। আর পুরো টাকাটাই ফেরত আনা সম্ভব বলে জোর দিয়ে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।

দুই দফায় ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরির পর পুনরায় ৮৭০ মিলিয়ন ডলার চুরির ব্যর্থ প্রচেষ্টা সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আলাপকালে তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে অনেকগুলো মিস ইনস্ট্রাকশন গিয়েছিল। এর ফলে কয়েকটি ইনস্ট্রাকশনের বিপরীতে রিজার্ভের অর্থ স্থানান্তরিত হয়ে গিয়েছিল। বাকিগুলো তাদের সিকিউরিটি অ্যালার্ট ও অ্যান্টি মানিলন্ডারিং অ্যালার্টের মাধ্যমে তারা বিষয়টি ধরতে পারে এবং এর বিপরীতে কোন ধরনের ট্রানজেকশন হয়নি। এটা নিয়ে বিভ্রান্তির কিছু নেই।

তিনি বলেন, রিজার্ভ পুনরুদ্ধারে অগ্রগতি অব্যাহত আছে। ফিলিপাইনের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এ বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক। এতে আমাদের আশা আরও জোরালো হয়েছে, যে অর্থটি সেখানে পাচার হয়েছে তার পুরোটাই ফিরিয়ে আনতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের টিম ও বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বে যে ফরেনসিক টিম কাজ করছে তাদেরও ধারাবাহিক অগ্রগতি আছে এবং এ অগ্রগতি ফলপ্রসূ হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক দাবি করেছিল তাদের ওখান থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো টাকা খোয়া যায়নি। যে টাকা হ্যাকাররা চুরি করেছে সেটা অন্য কোথাও থেকে হতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই