চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবলীগ নেতা বহিষ্কার

চাঁদাবাজির অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমকে রবিবার সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না— এই মর্মে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী  বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যুবলীগে কোনো চাঁদাবাজ, ধান্দাবাজের স্থান নেই। এ ধরনের অভিযোগ আসলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত বৃহস্পতিবার ওই মার্কেটে অভিযান চালিয়ে যুবলীগের নেতা রেজাউল করিমসহ ১১ জনকে আটক করে। পরে রেজাউলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বাকি ১০ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

র‌্যাব জানায়, রাজধানী সুপার মার্কেটে বুধবার মধ্যরাতে ময়নুল হক মঞ্জু ও রেজাউলের নেতৃত্বে ১৫-১৬ চাঁদাবাজ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। এর আগে, সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্যরা মার্কেটে অবস্থান নেয়। চাঁদা দিতে অস্বীকার করা ব্যবসায়ীদের মারধর ও দোকান ভাঙচুরের সময় র‌্যাব সদস্যরা তাদের হাতেনাতে আটক করে। পরে মার্কেট মালিক সমিতির কার্যালয় থেকে রেজাউলসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে চাঁদার এক লাখ ৬০ হাজার ৬৯৫ টাকাও উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত আটজনকে তিন মাস ও দুজনকে দেড় মাস করে কারাদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— সরকারি কবি নজরুল কলেজের ছাত্রলীগের সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও একই কলেজের ছাত্র সানাউল করিম। তিনি যুবলীগের নেতা রেজাউল করিমের ভাই। এ ছাড়া যুবলীগের তিন কর্মী আলী হোসেন ওরফে মন্টু, সাদাফ শাহরিয়ার হাসান ও ফারুক হোসেন। বাকি পাঁচজন স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী কামাল উদ্দিন, এনায়েত হোসেন, আহসানউল্লাহ, আবদুল হক ও মো. আরিফ। আরিফ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নুল হকের শ্যালক।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলম বলেন, ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মামলা করতে কিংবা সাক্ষ্য দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। এ কারণে সরকারি কাজে বাধা ও দোকান ভাঙচুরের অভিযোগে ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই