চট্টগ্রামে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনি : হরতালেও যানজট

চট্টগ্রামে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনিতে চলছে জামায়াতের হরতাল। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় মোতায়েনের জন্য কুইক রিয়েকশন ফোর্স (কিউআরএফ)’ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্পটে হরতালেও দেখা গেছে ব্যাপক যানজটের দৃশ্য।

নগরী ছাড়াও সীতাকুণ্ড, বাঁশখালী, পটিয়া, লোহাগাড়া, হাটহাজারী ও ফটিকছড়িসহ চট্টগ্রামে ১৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়ন রয়েছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নিরাপত্তার বাহিনীর সদস্যরা। হরতালে নাশকতা মোকাবেলায় অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন বিজিবিও।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবদুল আওয়াল বলেন, ‘হরতালে অপ্রীতিকর কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ টহল দিচ্ছে। সব উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।’

বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে জামায়াতের ২৪ ঘণ্টার হরতাল শুরুর পর এ পর্যন্ত কোথাও নাশকতার কোন খবর পাওয়া যায়নি। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের হরতালের সমর্থনে কোথাও মিছিল কিংবা অন্য কোন কর্মসূচি পালন করতেও দেখা যায়নি।

চট্টগ্রাম বন্দরে স্বাভাবিক রয়েছে পণ্য উঠানামা কার্যক্রম। তবে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা এবং জেলার অন্যান্য এলাকার দৌড় পাল্লার গাড়ি গুলো ছেড়ে যায়নি তেমন একটা। স্বাভাবিক রয়েছে ট্রেন চলাচলও। চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে সকাল থেকে ফ্লাইটগুলো উঠানামা করেছে সময় মত। তবে বন্ধ রয়েছে নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। হরতালের কারণে আগেই স্থগিত করা আজকের হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা।

এদিকে নগরীর ৮০টি পয়েন্টে দুই হাজার পুলিশ মোতায়েন আছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য।

নগরীর ব্যস্ততম এলাকা নিউমার্কেট, দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, ওয়াসা মোড়, জিইসি মোড়, দুই নম্বর গেইট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, অক্সিজেন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে হরতালে বন্দর নগরীর জনজীবন স্বাভাবিক।

হরতালে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন রুটে গণপরিবহনের চাপ দেখা গেছে স্বাভাবিক। চলাচল করছে রিকশা, অটোরিকশা, টেম্পু, সিটিবাস, মিনিবাস ও হিউম্যান হলার। তবে ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল কম দেখা গেছে।

বিজিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের অপারেশন অফিসার লে. কর্নেল এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যে কোনো ধরনের নাশকতা রোধে বিজিবি সদস্যরা টহলে আছে।



মন্তব্য চালু নেই