গ্রেপফ্রুটের বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা

ভিটামিন সি তে ভরপুর গ্রেপফ্রুট। ভিটামিন সি ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে এবং ঠান্ডা দূর করতে সাহায্য করে। গ্রেপফ্রুটেপটাসিয়াম ও লাইকোপেন থাকে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম, সুগার ও ফসফরাস ও থাকে এতে। গ্রেপফ্রুটের বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়ে জানবো আজ।

১। ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে

ভিটামিন সি তে সমৃদ্ধ যেকোন ফল ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। সাধারণ ঠান্ডা প্রতিরোধেও সাহায্য করে ভিটামিন সি যা গ্রেপফ্রুটএ প্রচুর পরিমাণে থাকে। মুখ এবং পাকস্থলীর ক্যান্সার থেকেও সুরক্ষা দেয় ভিটামিন সি। শরীরের ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেও সাহায্য করে গ্রেপফ্রুট। দৈনিক ভিটামিন সি এর চাহিদার ৭৮% পূরণ করতে পারে অর্ধেকটা গ্রেপফ্রুট।

২। কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে

গ্রেপফ্রুটএ নারিনজেনিন থাকে যা কিডনিতে সিস্ট হওয়া প্রতিরোধ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি প্রভাব শুধু কিডনির সিস্ট গঠনেই বাঁধা দেয় না বরং কিডনির ফোলা কমাতেও সাহায্য করে।

৩। মেটাবোলিজম

যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য গ্রেপফ্রুটএকটি জনপ্রিয় খাবার। যদি কারো বিপাক প্রক্রিয়া ভালোভাবে কাজ করে তাহলে ফ্যাট পুড়ে এমনকি বিশ্রামরত অবস্থায় ও। ২০০৬ সালের জার্নাল অফ মেডিসিনাল ফুড এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয় যে, যারা প্রতিবার খাবার পূর্বে অর্ধেক গ্রেপফ্রুটখান তাদের খাবারের অন্যকোন পরিবর্তন করা ছাড়াও ১২ সপ্তাহে সাড়ে তিন পাউন্ড ওজন কমে।

৪। মাড়ির রোগ সাড়ায়

ব্রিটিশ ডেন্টাল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায় যে, যাদের মাড়ির রোগ আছে তাদের প্রতিদিন গ্রেপফ্রুটখেলে মাড়ির রক্ত ঝরা কমে যায়। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ভিটামিন সি গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে মাড়ির সমস্যা ভালো হয়। মাড়িকে সুস্থ রাখার জন্য ভিটামিন সি অত্যাবশ্যকীয়।

৫। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমার সাথে সম্পৃক্ত। জার্নাল অফ নিউট্রিশনাল বায়োকেমেস্ট্রিতে প্রকাশিত গবেষণায় জানা যায় যে, প্রোস্ট্রেট ক্যান্সার কোষের ক্ষতিগ্রস্থ DNA এর মেরামতে সাহায্য করে গ্রেপফ্রুট।

তাছাড়া গ্রেপফ্রুটের ঘ্রাণ স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি এবং ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে। লিভার পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে গ্রেপফ্রুট, খারাপ কোলেস্টেরল কমতে সাহায্য করে, ডায়াবেটিস, কন্সটিপেশন, এসিডিটি এবং ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে গ্রেপফ্রুট।

সতর্কতা : ঔষধের সাথে গ্রেপফ্রুটখাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গ্রেপফ্রুটের রাসায়নিক উপাদান (নারিনজেনিন)বিভিন্ন ঔষধের সাথে প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে এবং আপনার শরীরের ক্ষতি সাধন করতে পারে। নতুন কোন ঔষধ গ্রহণের পূর্বে ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন সেই ঔষধ সেবনের সময় গ্রেপফ্রুটখেতে পারবেন কিনা।



মন্তব্য চালু নেই