গুলশান হামলা: নরসিংদী থেকে এক সন্দেহভাজন নারী আটক

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা থেকে রুমা আক্তার নামের এক নারীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীর গুলশানের রেস্তোরাঁয় হামলায় রুমা জড়িত থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন জেলা পুলিশ সুপার আমেনা বেগম।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবপুরের সাধারচর ইউনিয়নের চরকুকরি নিজ গ্রাম থেকে রুমাকে আটক করা হয়।

নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের চরকুকরি এলাকায় থেকে রুমা নামের একজনকে আটক করে নিয়ে যায়। এ অভিযানে নরসিংদী জেলা পুলিশ সম্পৃক্ত ছিল না।

এসপি বলেন, ‘কোন অভিযোগে ওই নারীকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়টি ডিএমপি আমাদের জানায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকার গুলশান বা অন্য কোনো হামলার ঘটনায় ওই নারী জড়িত থাকতে পারেন।’

এ ব্যাপারে ডিএমপির জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

গত ১ জুলাই রাতে গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। রাতেই তারা দেশি-বিদেশি ২০ জনকে হত্যা করে। রাতে উদ্ধার অভিযানের সময় জঙ্গিদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরের দিন সকালে যৌথবাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী ও রেস্তোরাঁর এক কর্মী।

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে। সংগঠনটির মুখপাত্র আমাক হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে বলে জানায় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স।

গুলশানে ওই রেস্তোরাঁয় হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন চার ব্যক্তির ছবি গত ১৯ জুলাই প্রকাশ করে র‍্যাব। ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজানের আশপাশের এলাকায় স্থাপিত ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ থেকে চারজনের ছবি প্রকাশ করা হয়।

র‍্যাব প্রকাশিত ওই ফুটেজে দেখা যায়, গুলশানের ৭৫ ও ৭৯ নম্বর রোডের সংযোগ সড়কের কাছে রাস্তা এবং ফুটপাথ ধরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছেন কয়েকজন ব্যক্তি। এদের মধ্যে ঘাড়ে ব্যাগ বহনকারী এক নারীও রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককেই ফুটপাথের দেয়ালের একেবারে গা ঘেঁষে চলাচল করতে দেখা গেছে। ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ হওয়া স্থানটি হলি আর্টিজান বেকারি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে। সন্দেহজনকভাবে একটি প্রাইভেট কারকেও ওই সড়কে চিহ্নিত করেছে র‍্যাব।

এই সন্দেহজনক ব্যক্তিদের পরিচয় জানা থাকলে দ্রুত র‍্যাবকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। এ জন্য ০১৭৭৭৭২০০৫০ নম্বরে ফোন করে তথ্য দিতে বলা হয়।



মন্তব্য চালু নেই