কুড়িগ্রামে ৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি সেই বন্য হাতিটি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: বন্যার পানিতে ভেসে আসা ভারতীয় বুনো হাতিটি ব্রহ্মপূত্রের বিভিন্ন চরে ভেসে বেড়ালেও এখনো কার্যকর উদ্ধারের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ৬দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ক্ষুধার্ত হাতিটি খাদ্যের উদ্দেশ্যে রাজিবপুর উপজেলার নয়াচর বাজারের পশ্চিম দিকে নতুন চরে অবস্থান নিয়েছে। সেখানে কাশিয়া (কাঁশবন) খেয়ে ক্ষুধা নিবারণের চেষ্টা করছে।

হাতিটি যাতে ব্রহ্মপূত্রের মূল ভেসে না যায় এজন্য গ্রামবাসী নৌকা নিয়ে সেখানে পাহারা দিচ্ছে। অপরদিকে বন বিভাগের পর্যবেক্ষণ দল বৃহস্পতিবার হাতির কাছে এসে ঘুরে গেছেন। মাঝখানে ঈদের বন্ধে উদ্ধার পরিকল্পনা ব্যহত হলে বুনো হাতিটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়বে।

পর্যবেক্ষন টিমের প্রধান ঢাকা সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সপক্টের জাহাঙ্গীর কবির জানান, হাতিটি উদ্ধারে আমাদরে কর্তৃপক্ষ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে হাতিটি চরে আটকা পড়ায় তাকে উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হবে। কারণ চারদিকে বইছে ব্রহ্মপূত্র নদের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা। এখন স্রোতে তীব্রতার কারণে উদ্ধার পরিকল্পনার ইক্যুইপমেন্ট নিয়ে চলছে নানান হিসাব-নিকাশ।

অপরদিকে আশার কথা শোনালেন বাংলাদশেরে বন্য প্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অশীত চন্দন পাল। তিনি জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ হাতিটিকে উদ্ধারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভারতের একটি টিম বাংলাদেশে আসবে বলে জানিয়েছে। এছাড়াও হাতিটির যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে কারণে আমাদের লোকজন সারাক্ষণ হাতিটিকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে।

উল্লেখ্য যে, গত সোমবার ভারতের আসাম রাজ্যের শিশুমারা পাহাড়ি এলাকার ওই বুনোহাতিটি রৌমারীর সাহবের আলগা সীমান্ত এলাকার আন্তর্জাতিক মেইন পিলার নং- ১০৫২ এর নিকট দিয়ে বন্যার পানির স্রোতে ভেসে বাংলাদশেরে অভ্যন্তরে প্রথমে চরবাগুয়ার চরে আটকা পড়ে।

ওই চরে সারাদিন অবস্থানের পর রাতে আবার স্রোতে ভেসে খেরুয়ারচর নামক স্থানে আটকা পরে। সর্বশেষ শনিবার হাতিটি রাজিবপুর উপজেলার নয়াচর বাজারের পশ্চিম দিকে নতুন চরে অবস্থান নিয়েছে। সেখানে সে কাশিয়া খেয়ে ক্ষুধা নিবারণের চেষ্টা করছে।



মন্তব্য চালু নেই