কলকাতার বডি ম্যাসাজ পার্লার সম্পর্কে যে ১০টি অবাক করা তথ্য আপনার অজানা!

কাগজে বিজ্ঞাপন অনেক চোখে পড়েছে আপনার— ফুল রিল্যাক্সেশন, ম্যাসাজ বাই হাই প্রোফাইল ইত্যাদি ইত্যাদি। পড়তেই গা-টা কেমন শিরশির করে উঠেছে, মনে হাঁকপাঁক করেছে হাজার কৌতূহল— ম্যাসাজ বলতে কি বিশেষ বিশেষ অঙ্গের ম্যাসাজ বোঝানো হচ্ছে…

শরীর-চর্চা
কামের ফাঁদ পাতা ভুবনে, কমবেশি সকলেরই তাতে ধরা না পড়ে উপায় নেই। কিন্তু কাম বা সেক্সের যে বহুবিস্তৃত জাল সর্বত্র বিস্তারিত তাতে সকলেই প্রত্যক্ষভাবে ধরা পড়েন না। অনেকেই তাতে আছেন যাঁরা ধরা পড়েন-পড়েন মনে করেন, কিন্তু সরাসরি ধরা পড়তে অস্বস্তি বোধ করেন। এই ফাঁদের এক অপেক্ষাকৃত নবতর সংস্করণ— ম্যাসাজ পার্লার। কাগজে বিজ্ঞাপন অনেক চোখে পড়েছে আপনার— ফুল রিল্যাক্সেশন, ম্যাসাজ বাই হাই প্রোফাইল ইত্যাদি ইত্যাদি। পড়তেই গা-টা কেমন শিরশির করে উঠেছে, মনে হাঁকপাঁক করেছে হাজার কৌতূহল— ম্যাসাজ বলতে কি বিশেষ বিশেষ অঙ্গের ম্যাসাজ বোঝানো হচ্ছে, রিল্যাক্সেশনের প্রক্রিয়াটি কী, হাই প্রোফাইলরা ঠিক কেমনতর ‘হাই’? সব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পেতে গেলে আপনাকে সশরীর হাজির হতে হবে ওইসব পার্লারে। আপাতত এদের কয়েকটির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা যাক-

১. প্রথমেই বলে রাখা যাক, গোদা শ্রেণি বিভাজনে ম্যাসাজ পার্লারের কিন্তু দু’টি ভাগ রয়েছে। প্রথম ধরনের ম্যাসাজটি হয় নামজাদা বিলাসবহুল স্পা-গুলিতে। দ্বিতীয় ধরনের ম্যাসাজ করা হয় সেইসব পার্লারে যাদের ওই ‘হাই প্রোফাইল’ মার্কা বিজ্ঞাপন আপনি সংবাদপত্রের পাতায় দেখেছেন। দু’টি ধরনের ম্যাসাজের মধ্যে ভেদরেখাটি অতি সূক্ষ্ম, এবং ক্ষেত্রবিশেষে সেই ভেদরেখা মুছেও যেতে পারে। তবে কখন কীভাবে সেই ভেদরেখা মুছবে তা ব্যাখ্যার অতীত।

২. কলকাতার নানা জায়গায় এবং কলকাতার উপকন্ঠে ছড়িয়ে রয়েছে এইসব পার্লার। কাগজে যে ফোন নম্বরগুলো দেওয়া থাকে, কৌতূহলী হয়ে তাতে ফোন করে বিশেষ লাভ নেই। কারণ যিনি ফোন ধরবেন (অধিকাংশ সময়েই পুরুষ) তিনি কিছু মামুলী প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ব্যতীত কিছুই ভেঙে বলবেন না।

৩. বিজ্ঞাপনে প্রদত্ত নম্বরে ফোন করে আপনি যদি ম্যাসাজ পার্লারে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং ভাবেন যে, সেই ছুতোয় পার্লারটির ঠিকানা জেনে ফেলবেন তাহলে বিশেষ সুবিধা হবে না। কারণ যিনি ফোন ধরবেন, তিনি একটি ল্যান্ডমার্কের সন্ধান দেবেন মাত্র। বলা হবে, সেখানে আপনি এলে পার্লারের প্রতিনিধি গিয়ে আপনাকে আসল জায়গায় নিয়ে আসবেন।

৪. ‘হাই প্রোফাইল’-এর ধারণা পাঠকমনে কেমন আছে তা জানা নেই, তবে একথা সত্য যে, অনেক উঠতি মডেল বা টিভি-ফিল্মে কাজ না-পাওয়া অভিনেত্রীর দেখা এখানে মিলবে।

৫. যেসব মহিলারা এখানে ম্যাসিওর হিসেবে কাজ করেন তাঁদের সকলেই যে কোনও দালালের খপ্পরে পড়ে এখানে আসেন তা নয়। অনেকেই আছেন যিনি স্বেচ্ছায় এই পেশায় যোগদান করেছেন।

৬. পার্লারে ‘ম্যাসাজে’র কাজটি কতটা বিস্তৃত হবে, শরীরের কোন অংশে ম্যাসাজের কাজটি কেন্দ্রীভূত হবে বা ম্যাসিওর তাঁর হাত ছাড়া আর অন্য কোনও অংশ ম্যাসাজের কাজে ব্যবহার করবেন কি না, সেটা নির্ভর করছে ম্যাসাজের গ্রাহকের চাহিদার ওপর।

৭. একথা জেনে আনন্দিত বা বিস্মিত হতে পারেন যে, এইসব পার্লারের ম্যাসিওররা যে বাধ্যতামূলকভাবে মহিলাই হবেন এমন কোনও কথা নেই। পুরুষ ম্যাসিওরও এখানে উপলব্ধ।

৮. কাগজে বিজ্ঞাপন ছাড়াও আরও নানা উপায়ে ক্রেতাদের আকর্ষণ করা হয়ে থাকে। ইন্টারনেট, পানশালায় কর্মরত টাউট— নানা উপায়ে আগ্রহীরা পৌঁছে যেতে পারেন ম্যাসাজ পার্লারের দ্বারপ্রান্তে।

৯. পার্লারগুলির কর্মীরা সাধারণত পেশাদারি মনোভাবের হন। নির্দিষ্ট শ্রমের বিনিময়ে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক নেওয়ার নীতিতে সাধারণত তাঁরা বিশ্বাসী হন।

১০. এবার লাখ টাকার প্রশ্নটি। ঠিক কী অথবা কী কী হয় এইসব পার্লারের ভিতরে? সেই প্রশ্নের উত্তর কী এত সহজে পাবেন ভেবেছেন‌? কিছু প্রশ্ন নিরুত্তর ঘুরে বেড়ানোই ভাল নয় কি?



মন্তব্য চালু নেই