ওসির বাসভবনে দল বেঁধে পাগলা কুকুরের হামলা

ঢাকার ধামরাইয়ে ওসির বাসভবনে একদল পাগলা কুকুর আক্রমণ চালিয়েছে। এতে ওই বাসভবনে পোষা দুইটি ভেড়া মারা গেছে। কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন বাসার কেয়ারটেকার।

শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ধামরাই থানা কম্পাউন্ডে অবস্থিত ওসির বাসভবনে আক্রমণ করে কুকুরগুলো।

ধামরাই থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ রিজাউল হক দীপু বলেন, নিধন বন্ধ রাখায় কুকুরের বংশ বিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মানুষের নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে।

তিনি বলেন, শনিবার আমার বাসভবনে ঢুকে ভেড়া দুটিকে কামড়ে ক্ষত বিক্ষত করে মেরে ফেলেছে একদল কুকুর। এসময় কুকুরের কবল থেকে ভেড়া দুটো বাঁচাতে গিয়ে আমার কেয়ারটেকার শামসু মিয়াও আহত হয়েছেন।

ওসি আরো জানান, শখ করে কালামপুর পশুরহাট থেকে ৫-৬ মাস আগে ১৬ হাজার টাকা দিয়ে এ দুটি ভেড়া কিনেছিলাম। ভেড়া দুটিকে আমি নিজ হাতে গোসল করাতাম ও খাবার দিতাম।

এদিকে ধামরাই পৌরশহরে পাগলা কুকুরের অস্বাভাবিক উপদ্রব বৃদ্ধ পেয়েছে। এতে ধামরাই পৌরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

গত ১০ দিনে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের আক্রমণে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

ধামরাই পৌরসভার প্রতিটি মহল্লায় সর্বত্র পাগল কুকুর আতংক বিরাজ করছে। রাস্তায় বের হলে শিশুদের কোনো নিরাপত্তা নেই।

এ বিষয়ে ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির মোল্লা বলেছেন, সরকারী বিধি নিষেধ থাকায় কুকুর নিধন অভিযান চালানো যাচ্ছে না। যে হারে কুকুরের উপদ্রব বেড়ে চলছে তাতে জরুরি ভিত্তিতে এর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

তিনি জানান, ১০ দিনে অর্ধশতাধিক মানুষ কুকুরের হামলায় আহত হয়েছেন। সড়কে চলাচল করতেও ভয় পাচ্ছে পৌর এলাকার মানুষ।

ধামরাই থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ রিজাউল হক দীপু বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার অজুহাতে কুকুর নিধন বন্ধ রাখা হলে আশংকাজনক হারে কুকুরের বংশ বিস্তার বৃদ্ধি পাবে। আর এতে মানুষের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।

ধামরাই পৌরশহরের ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ইসলামপুর মহল্লার বাসিন্দা মো. শহীদুল্লাহ বলেন, কুকুরের উপদ্রব এতটাই বেড়েছে যে, লাঠিসোঠা নিয়ে তাড়া করলেও উল্টো কুকুর দলবদ্ধ হয়ে মানুষের দিকে তেড়ে আসে।



মন্তব্য চালু নেই