এভাবে এমপিও বঞ্চিত রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া কী সম্ভব?

বাংলাদেশের শত শত এমপিও বঞ্চিত কম্পিউটার শিক্ষকদের একজন কলারোয়া বেত্রবতী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (ইআইআইএন-১১৮৬৫৩) মো: সাইফুল আলম।

সেই ২০০২ সালে বিধি মোতাবেক নিয়োগ পত্র পেয়ে যোগদান করেও আজ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। একযুগেরও বেশি সময় ধরে বিনা বেতনে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে এখন প্রায় ক্লান্ত তিনি। যৌবনের দুরন্ত দিনগুলিতে কর্মস্থলে নিজেকে বন্দি রেখে এক অপার মায়ার বাধনে আটকে পড়া ওই শিক্ষক তাইতো এখনও অপেক্ষা করছেন এমপিওভুক্তির।

ডিজিটালকখন যে এতগুলো বছর পার হয়েছে তা নিজেও জানেন না। শুধু বোঝেন মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়েছে পরিবারে এসেছে নতুন মেহমান। তাই তাদের ভরণ পোষণে চাই আর্থিক সাপোর্ট। আর একারণে আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে সদাশয় সরকারের কাছে মানবেতর জীবন যাপন থেকে মুক্তি পেতে এমপিওভুক্তির এমন প্রাণময় আবেগভরা নিবেদন।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হামিদ জানান, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পুরণে যারা মূখ্য ভূমিকা রাখছেন তাদের বেতন হওয়াটা স্বাভাবিক। Saiful Alamকিন্তু বিষয়টি কেন্দ্রীয় ভাবে সরকারের একেবারে নীতি নির্ধারণি পর্যায়ের ব্যাপার, তাই আমাদের সহানুভূতি থাকলেও কিছু করার নেই। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন সদাশয় সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট চিন্তা ভাবনা করছেন। হয়তো অচিরেই সেটি দৃশ্যমাণ হবে।

কম্পিউটার শিক্ষক সাইফুল আলম বলেন, ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণিতে কম্পিউটার বিষয়ে পাঠদান কিংবা সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি বিদ্যালয়ে কম্পিউটারে কাজ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েও কী বেতন পাবোনা। এভাবে আমাদের এমপিও বঞ্চিত রেখে কী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব! তার পর একটা দীর্ঘ নি:শ্বাস, অত:পর দু’চোখ বেয়ে কষ্টের লোনাজল আর——-।



মন্তব্য চালু নেই