সিরাজগঞ্জ এর কিছূ খবর

উল্লাপাড়া জামায়াতের সভাপতি গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি খাইরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি উল্লাপাড়া বারো আউলিয়া মাদ্রসার শিক্ষক।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় পূর্ণিমাগাতী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল হুদা গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নাশকতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

 

সিরাজগঞ্জ আদালত চত্বরে পুলিশ জনতা ধস্তা ধস্তি, রাবার বুলেট নিক্ষেপ, আটক ২
সিরাজগঞ্জ আদালত চত্বরে পুলিশ ও আসামী পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধস্তা ধস্তির ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ অন্তত ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার আছিয়া খাতুন হত্যা মামলায় গত ৫ দিন পূর্বে কাজিপুর উপজেলার মাথাইল চাপড় পূর্ব পাড়ার সোহরাব হাজীর মেয়ে শাপলা খাতুনকে (গত ২২ জানুয়ারি) আটক করে পুলিশ। আটকের পর তাকে থানা হেফাজতে রেখে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ করা হয় আদালতে।

গত সোমবার আসামী শাপলা খাতুনকে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-১ এ হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কাজিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক।

মঙ্গলবার সকালে রিমান্ডের শুনানী চলাকালে আসামী শাপলা খাতুন তার উপর থানা হেফাজতে আটক রেখে নির্যাতনের বর্ননা দেন আদালতে।

পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আটক শাপলা খাতুনের উপর অমানুষিক নির্যাতনে খবর ছড়িয়ে পড়লে তার আতœীয় স্বজন ও এলাকাবাসী মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বেলা ১টায় সিরাজগঞ্জ আদালত চত্বরে পুলিশের সাথে আসামী পক্ষের লোকজনের ধস্তা ধস্তির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অন্তত ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় ২ জনকে আটক করা হয়।

কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল শাপলা খাতুনের উপর নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান হত্যার সাথে জড়িত থাকায় পুলিশ তাকে আটক করে।
পরে তাকে সাথে নিয়ে অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হয়।

উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ১৭ আগষ্ট রাতে পরোকিয়া প্রেমের জের ধরে কাজিপুর উপজেলার  আলমপুর পূর্ব পাড়ার আফতাব হোসেনের মেয়ে আছিয়া খাতুন মুক্তিকে ঘরের মধ্য থেকে তুলে এনে হত্যা করে স্বামী ও তার লোকজন। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই  আবু ইয়াহ ইয়া আনসারি বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামী করে কাজিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা (জিআর-১০৬/২০১৪) দায়ের করেন।



মন্তব্য চালু নেই