‘ইয়াবা ব্যবসায়ী’ ছাত্রলীগ নেত্রীর কাণ্ড

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশীতা ইকবাল নদীর বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার হল শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ইসরাত জাহান সোনালী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, ইয়াবা ব্যবসা করতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে হল থেকে বের করে দেন নদী।
এর আগে এসএম হল মুহসীন হল জগন্নাত হল এবং ফজলুল হক হল ছাত্রলীগ নেতাদের বিরোদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ ওঠে। গত দু’মাসে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ ৯ জনকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
চারুকলা অনুষদে একটি বিভাগে দ্বিতীয়বর্ষে অধ্যয়নরত ওই ছাত্রলীগ নেত্রী অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, কিছুদিন থেকে নিশীতা ইকবাল নদী আমাকে দিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে বাধ্য করছিল কিন্তু সম্মতি প্রদান করিনি। এর জের ধরে সরস্বতী পূজার দিন রাতে কারণ ছাড়াই নদীকে আমাকে বেধড়ক মারধর করে ও হল থেকে চলে যাওয়ার কথা বলে। বিষয়টি হল প্রাধক্ষ্যকে জানালে তিনিও কোনো ব্যবস্থা নেননি।
তিনি আরও বলেন, পরদিন রাতে আবার শারীরিক নির্যাতন করে জোরপূর্বক হল থেকে বের করে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, প্রাধ্যক্ষ এমনকি প্রধানমন্ত্রী বললেও হলে ওঠতে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন নদী।
ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ এনে ওই ছাত্রী বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই নদী ইয়াবা ব্যবসা করছেন। এই কাজে আমাকেও যুক্ত হওয়ার চাপ ও হুমকি দিচ্ছিলেন। কিন্তু আমি সাড়া না দেয়ায় নির্যাতন করেছে। হল সভাপতি নদীকে ছাত্রলীগের নামধারী ভণ্ডনেত্রী উল্লেখ তিনি বিচারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে নদীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এসব মিথ্যা কথা। আমি সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। ওই মেয়ের চারিত্রিক সমস্যা আছে। আপনারা সাংবাদিক খুঁজলেই পাবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এম আমজাদ আলী বলেন, ‘দুই পক্ষ পরস্পর বিরোধী কথা বলছে। এইজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই