আম্পায়ারিং নিয়ে মুখ খুললেন মাশরাফি

খেলোয়াড়ী জীবনে অনেক কিছুই ঘটে। কিছু ঘটনা স্মৃতি থেকে হারিয়ে যায়। অপরদিকে কিছু ঘটনা হৃদয়পটে থেকে যায় অমলিন। এর মধ্যে আবার কতিপয় অঘটন হৃদয়কে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়।

চলতি বিশ্বকাপে মাশরাফি বিন মুর্তজার তেমনই এক অভিজ্ঞতা হলো। তিন আম্পায়ার মিলে বাংলাদেশকে যেভাবে হারালেন, তা কোনোদিন ভুলবেন কি মাশরাফি? স্মৃতিপটে ঠাঁই পাওয়া এই ঘটনা বাংলাদেশ দলপতিকে তাড়িয়ে বেড়াবে আজীবন। এবারই হয়তো শেষ বিশ্বকাপটা খেলে ফেলেছেন মাশরাফি। আর সেই বিশ্বকাপে কি না তাকে বাজে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হল।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বৃহস্পতিবার ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে আম্পায়াররাও দারুণ খেলেছেন! শুধু বোলিংয়ের সময়েই নয়, ব্যাটিংয়ের সময়ও বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল আম্পায়ারের। ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাশরাফি অবশ্য আম্পায়ারিং নিয়ে কিছুই বলেননি। কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আম্পায়ারিং নিয়ে মুখ খুললেন মাশরাফি। তিনি জানিয়েছেন মাঠে কি ঘটেছে সেটা সবাই দেখেছে।

এদিকে আইসিসির ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ থাকায় কথাগুলো সরাসরি বলতে পারলেন না তিনি। তবে পুষে রাখা ক্ষোভটা তিনি যে উগড়ে দিলেন, এটা তার কথাতেই স্পষ্ট, ‘ মাঠে কী ঘটেছে তা সবাই দেখেছে। আমি এ নিয়ে কোনো কথা বলব না।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের নায়ক রোহিত শর্মা। আম্পায়ারদের করুণায় জীবন পেয়ে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। দলকে এনে দিয়েছেন বড় পুঁজি। আর সেই পুঁজিই বাংলাদেশের জন্য হয়েছে বোঝা। আম্পায়ারের ওই সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মাশরাফি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে উইকেট নেওয়াই মূখ্য। অন্যথায় আপনার জন্য কাজটা খুব কঠিন হবে। ওই সময়টাতে রোহিত শর্মা আউট হয়ে গেলে খুব ভালো হতো। আপাতত এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। মাঠে কী হয়েছে, সেটা তো আপানারাই অবলোকন করেছেন। এমনিতেই ২০টি রান বেশি হয়েছে। সেটা না হলে ম্যাচের ফল ভিন্নও হতে পারত।’

মাশরাফির এই মন্তব্যে এটাই প্রতীয়মান হয় যে বাংলাদেশের পরাজয়ের অন্যতম কারণ বাজে আম্পায়ারিং! এটা ক্রিকেট ইতিহাসের বড় কলঙ্কও বটে। আইসিসির ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ না থাকলে বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে মাশরাফির ভাষা এমনটা হতো না। ক্ষোপ প্রকাশ করতেন খোলামেলাভাবেই।

পেছনে তাকিয়ে লাভ কী? তাকাতে হবে সামনে। এ কথাই হয়তো অনুধাবন করতে চাইলেন মাশরাফি। কথা বললেন সামনের কয়েকটি সিরিজ নিয়ে। বিশ্বকাপ শেষেই যে বাংলাদেশকে পার করতে হবে ব্যস্ত সময়। এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান। এরপর জুনে আসবে ভারত। ওই মাসেই এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল আসবে বাংলাদেশে। এরপর অক্টোবরে বাংলাদেশ আতিথ্য দেবে অস্ট্রেলিয়াকে। পূর্ণাঙ্গ এই সফর নিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বলেন, ‘এ বছর আমাদের ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। আমাদের সামনে রয়েছে বেশ কয়েকটি সিরিজ। দেশের মাটিতেই খেলব আমরা। আশা রাখি এই বছরটা আমাদের জন্য রোমাঞ্চকর হবে।’



মন্তব্য চালু নেই