‘আমার ভেতরেই আছে জমজ বোন, ওকে গিলে নিয়েছে আমার দেহ’

মেয়েটার পেটের মাঝ বরাবর একটা সরলরেখা। দেখলে মনে হবে শরীরকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে। রঙটাও আলাদা। তার দেহের ডান দিকটা লালচে। আর বামে দিক তার স্বাভাবিক ত্বকের রঙ ধারণ করেছে। নাম তার টেলর। তার পেটের এই অবাক করা রং দেখে চিকিৎসকরাও ভেবেছিলেন এটা জন্মদাগ হবে। একটু বড় হওয়ার পর প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তেন তিনি। তখন পরীক্ষা ধরা পড়ল এক আশ্চর্য রোগ।

ডাক্তারি ভাষায় রোগের নাম কাইমেরিজম। অত্যন্ত জটিল রোগ। মায়ের গর্ভে থাকাকালীন যমজ সন্তানের ভ্রূণ সৃষ্টি হয়। তবে তা জন্মানোর আগেই একটি অন্যটির মধ্যে মিশে যায়। তার ফলে যে শিশু জন্মায় তার শরীরে দুই ধরনের ডিএনএ থেকেই যায়। যেমনটা হয়েছে টেলরের ক্ষেত্রে। তার পেটের যে অংশটি লাল হয়ে রয়েছে সেখানে তার যমজ বোনের অস্তিত্ব রয়েছে! তার শরীরে একই সঙ্গে দুটি ইমিউন সিস্টেম এবং ব্লাড স্ট্রিম রয়েছে।

টেলর বলেন, ১২-১৩ বছর বয়স থেকে মাঝে-মধ্যেই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়তাম। বহু ডাক্তার দেখাই। কিন্তু তাতে ফল কিছুই হয়নি। কেউ ধরতে পারছিলেন না আসলে সমস্যা কোথায়। বেশিরভাগ চিকিৎসক এই দাগকে জন্মদাগ বলে বিশেষ গুরুত্ব দেননি। পরে বিশদে পরীক্ষার পরে জানা যায় আমি কাইমেরিজমে আক্রান্ত। সূত্র: এই সময়



মন্তব্য চালু নেই