অর্জুনদের উপদেশ দিয়ে নববর্ষ শুরু করলেন শচিন

টেস্ট এবং ওয়ানডে ব্যাটিংয়ের প্রায় সব রেকর্ডই তার দখলে। ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকারের ব্যাট একটা লম্বা সময় ধ্রুপদী ব্যাটিংয়ের অসাধারণ প্রদর্শনীতে মাতিয়ে রেখেছে কোটি ক্রিকেটপ্রেমীকে।

তবে টেস্ট আর ওয়ানডে, দুই ফরম্যাটেই সর্বোচ্চ রানের মালিক শচিন কখনোই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটাকে সিরিয়াসলি নেন নি। টেস্ট খেলেছেন ২০০টি, ওয়ানডে ৪৬৩টি, কিন্তু শচিনের খেলা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সংখ্যা মাত্র ১টি! সেটাও খেলেছিলেন নিজের অবসরের আরো প্রায় সাত বছর আগে, ২০০৬ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে দশ রান করার পাশাপাশি একটি উইকেটও পেয়েছিলেন শচীন। সেই ম্যাচের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই পরিসরে ভারতের হয়ে আর মাঠে নামেন নি লিটল মাস্টার।

এ থেকেই স্পষ্ট, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের খুব বড় ভক্ত নন শচিন। মুম্বাই অনুর্ধ্ব-১৬ দলের খেলোয়াড়দেরকে উপদেশ দিতে গিয়েও শচিন বললেন, টি-টোয়েন্টির মারকাটারি ব্যাটিংকে অনুসরণ না করে বরং ব্যাটিংয়ের মূল ব্যাকরণ মেনে খেলতে শেখাটাই গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উত্থানের এই যুগে, সবাই এই সংক্ষিপ্ত পরিসরের দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছে দ্রুত তারকাখ্যাতির আশায়। কিন্তু মুম্বাইয়ের কৈশোরে পা রাখা ক্রিকেটারদের শচীন বললেন বড় ইনিংস খেলার দিকে মনোযোগী হতে।

শচীনের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকারও মুম্বাই অনুর্ধ্ব-১৬ দলের একজন সদস্য। অর্জুন এবং তার সতীর্থরা যদি আধুনিক ক্রিকেটের এই ব্যাটিং মায়েস্ত্রোর উপদেশ সঠিকভাবে পালন করতে পারে, তবে ভবিষ্যতে হয়তো তাদের কারো মধ্যে থেকেই বের হয়ে আসবে একজন রাহুল দ্রাবিড়, একজন ভিভিএস লক্ষণ; বা হয়তোবা একজন শচীন টেন্ডুলকার।



মন্তব্য চালু নেই