অমতে বিয়ে, মেয়েকে ডেকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারলেন মা

পারিবারিক সম্মানরক্ষার দায়ে মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল মা৷ পরিবারের অমতে এক ছেলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল পরভিনের মেয়ের৷ কিন্তু সেই সম্পর্ক মানেনি মা৷ তার জেরেই চরম সিদ্ধান্ত৷ ঘটনা পাকিস্তানের লাহোরের৷

জিনাত রফিক নামে বছর আঠেরোর তরুণীর বিয়ে হয়েছিল সপ্তাহখানেক আগে৷ বাড়ির কেউই সেই বিয়ের পক্ষে ছিলেন না৷ বাড়ি থেকে পালিয়েই তাই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন জিনাত৷ বিয়ের কয়েকদিন পর মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয় জিনাতের মা৷ দাবি করে, পরিবারের সঙ্গে সব ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে৷ মেয়ে এবং জামাইকে তারা আপন করে নিতে চায়৷

জিনাতকে পরভিন বিবি বোঝায়, পরিবারের সবাই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন, তারা নিজেদের মেয়েকে ক্ষমা করে দিয়েছে৷ একইসঙ্গে মেয়ের পরিবারের সবাই ঠিক করেছে তারা একটা অনুষ্ঠান করতে চান৷ সেইমতো বাড়িতে রিসেপশনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় দু’জনকে৷ আশ্বাস পেয়ে মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরে আসে জিনাত৷

কিন্তু বাড়িতে যে তাঁর জন্য এমন কিছু অপেক্ষা করে ছিল, তা স্বপ্নেও ভাবেননি জিনাত৷ বাড়ি ফেরার পর রাতেই জিনাতকে হাত-পা বেঁধে গায়ে তেল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয় পরভিন বিবি৷ এই কাজে পরভিনকে সাহায্য করে তার ছেলে৷ বিছানার সঙ্গে বেঁধে তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে পরভিন৷

মেয়েকে ঘরে আগুন জ্বালানোর পর প্রকাশ্যে চিৎকার করে পরভিন দাবি করতে থাকেন, “মেয়েকে উচিত শিক্ষা দিয়েছি৷ পরিবারের মানমর্যাদা নষ্ট করে দিয়েছিল৷ এরকম মেয়ের এই শাস্তিই পাওয়া উচিত৷ আমার কোনও অনুশোচনা নেই৷ আল্লাহ আমার কাজের জন্য আমাকে নিশ্চয়ই আশীর্বাদ করবেন৷”

পুলিশ জানিয়েছে, একই বয়সের হাসানের সঙ্গে জিনাতের সম্পর্ক কোনওদিনই মানতে চায়নি তার মা পরভিন৷ গত সপ্তাহেই বাড়ি থেকে পালিয়ে হাসানের সঙ্গে নিকাহ করে জিনাত৷ এরপরই তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে পরভিন৷ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এমনই জানিয়েছে পুলিশ৷ গ্রেফতারের পরও পরভিনের এ বিষয়ে কোনও অনুশোচনা নেই বলেই পুলিশ জানায়৷ আদালত পরভিনকে ফাঁসি এবং জিনাতের দাদা আনিসকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে৷ সংবাদ প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই