হু হু করে কাঁদলেন ডেপুটি স্পিকার
দুই ছেলের কথা মনে পড়তেই হু হু করে কেঁদে উঠলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। দুই সন্তান আফজালুর রাব্বী ও আরিফ রাব্বী ছাড়া ঈদের দিন তার ভালো কাটে না। দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে এ দুই সন্তান ১৮ ও ১৬ বছর বয়সেই মারা যায়। এরপর থেকে ঈদ এলেই ছেলে হারানো শোক নতুন কাদায় তাঁকে। ঈদে তার কোনো আনন্দ নেই।
তিনি বলেন, ‘ঈদের নামাজ পড়ে প্রথমেই ছেলেদের কবর জিয়ারত করতে যাবো। তারপর আর কী করবো? শুয়ে শুয়েই দিনটি কাটিয়ে দিবো’। আর কথা বাড়াতে পারলেন না তিনি। কণ্ঠ জড়িয়ে এসেছে। খানিক পরেই হু হু করে কেঁদে উঠলেন।
ছেলেবেলায় তার ঈদ কেটেছে বাবার সঙ্গেই। বড় ছেলে হিসেবে বাবার হাত ধরে ঈদের মাঠে নামাজ পড়তে যেতেন। বাবার সঙ্গেই দাদার কবর জিয়ারত করতেন। তিনি বলেন, ‘কবরের সামনে আব্বা মুনাজাত করতেন। তার কাছ থেকেই আমার মুনাজাত শেখা।’
তবে বরাবরই কোরবানির গরু নিজে পছন্দ করে কেনেন ছয়বারের নির্বাচিত এ সংসদ সদস্য। এখন আর কোরবানির হাটে যাওয়া হয় না। এলাকায় ঘুরে পছন্দের গরুটি কিনে নেন।
ছোটবেলায় কখনো কোরবানির গরু দেখে ভয় পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্ন হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি নিজেই তো ছোটবেলায় গরু চরাতাম। ভয় পাওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
তবে বড় হওয়ার পরে দায়িত্ব অনেক বেড়েছে। নির্বাচনী এলাকার লোকজন দেখা করতে আসে। তাদের সঙ্গে সময় দিতেই হয়। তবে ছেলে হারানোর শোকে ঈদের তার আনন্দ হয় না। সবার জন্য আনন্দের হলে বিষর্ম বিষন্ন দিন কাটে তার।
মন্তব্য চালু নেই