জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী, বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন
জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ফের বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক ২৩ ফেব্রুয়ারি নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নে বলেন, শান্তিরক্ষী মিশনগুলোতে একটি রিভিউ প্রক্রিয়া রয়েছে। যার মধ্য দিয়ে এসব ইউনিটসমূহকে যেতে হয়।
প্রশ্নোত্তর আকারে ওই ব্রিফিং তুলে ধরা হলো :
প্রশ্ন: ওকে। আমি শুক্রবারে আপনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। এখন আমি তা আপনার কাছ থেকে আদায় করার চেষ্টা করছি। এর সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী ব্যবহারের প্রশ্ন জড়িত। এই বিষয়টি সাধারণভাবে নয়, অত্যন্ত নির্দিষ্টভাবে। মূলত একটি তালিকা পাওয়া গেছে।
মুখপাত্র: যদি কোনো মেইল পাওয়া গিয়ে থাকে, তাহলে আমি তা পেলে বাধিত হব। হ্যাঁ। আপনি যা বলছিলেন বলুন-
প্রশ্ন: যাকে ২০১৩ সালের ম্যাসাকার (নির্বিচারে হত্যা) বলা হয়ে থাকে, যাতে নির্দিষ্ট কমান্ডারগণ অংশ নিয়েছিলেন। আর সে কারণেই মি. তারানকোকে সেখানে যেতে হয়েছিল এবং আমি অনুমান করার চেষ্টা করছি যে, যেহেতু নামগুলো প্রকাশিত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম আইসিসি’র (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট) বরাবরে দাখিল করা আবেদনে উল্লিখিত হয়েছে, যদিও আমি জানি না যে, সেটা আইসিসি ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে কি করেনি। কিন্তু অত্যন্ত নির্দিষ্ট বিষয় হচ্ছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি বর্ষণের যে ডকুমেন্টেশন রয়েছে তার ভিত্তিতে জাতিসংঘ কী ধরনের রিভিউ করেছে এবং এমওএনইউএসসিও (ইউনাইটেড নেশনস অর্গানাইজেশন স্ট্যাবিলাইজেশন মিশন) এটি শান্তিরক্ষী মিশনগুলোতে প্রেরণ করেছে।
মুখপাত্র: আমি মনে করি, এ ক্ষেত্রে একটি রিভিউ প্রক্রিয়া রয়েছে যার মধ্য দিয়ে এসব ইউনিটসমূহকে যেতে হয়। আর সেই প্রক্রিয়ায় ডিপিকেও (ডিপার্টমেন্ট অব পিসকিপিং অপারেশনস) এবং স্বাগতিক দেশের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এবং এটাই হলো প্রক্রিয়া। আমার আর কিছু বলার নেই, আপনি বলুন।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়ে সেক্রেটারিয়েটের (জাতিসংঘ সচিবালয়) ঘোষিত আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে আপনি কি ডিপিকেও-এর কোনো বিবৃতির বিষয়ে ধারণা দিতে পারেন যে, এ পর্যন্ত দেশে প্রেরিত কনটিনজেন্টের ব্যাপারে কী ধরনের রিভিউ করা হয়েছে?
মুখপাত্র: আমি মনে করি রিভিউ করা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ। কিন্তু আমি যদি এ বিষয়ে অন্য কিছু জানতে পারি, তাহলে আমি আপনাকে তা জানিয়ে দেব।
মন্তব্য চালু নেই