ঢাবি শিক্ষক সমিতির সব পদেই নীল দল জয়ী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি’র ২০১৭ সালের কার্যকর পরিষদেরনির্বাচনে ১৫টি পদেই জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের প্যানেল নীল দল।
দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম মাকসুদ কামাল ৮৯০ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এবং ৭৩২ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আইন বিভাগের অধ্যাপক রহমত উল্যাহ।
অন্যান্য পদে বিজয়ী হয়েছেন যারা-
সহ-সভাপতি : শিবলী রুবাইতুল ইসলাম (৭৯৫ ভোট), ডিন, বিজনেস অনুষদ
কোষাধ্যক্ষ: অধ্যাপক আব্দুস ছামাদ (৮১৬), চেয়ারম্যান ফলিত গণিত বিভাগ
যুগ্ন-সম্পাদক: আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভুঁইয়া (৮৮৪), চেয়ারম্যানটেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যায়ন বিভাগ
এ ছাড়া সদস্য পদে নির্বাচিত ১০ জন হলেন- অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ (৯৯৭), ড. মো. ইমদাদুল হক (৭৭৬), অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন (৮১৪), অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুঁইয়া (৮৮৩), অধ্যাপক ড. মো: বায়তুল্লাহ কাদেরী (৭৪৪), অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রহমান (৬৮৫), অধ্যাপক ড. তাজিন আজিজ চৌধুরী (৭৯৭), অধ্যাপক ড. মো: আফতাব আলী শেখ (৯৫৭), অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া (৭৮৪), সহযোগী অধ্যাপক মিসেস লাফিফা জামাল (৭৯৯)।
বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ভোট গ্রহণ শেষে বিকেল সাড়ে ৫টায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’ তিনি বিজয়ী ও পরাজিত সকল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বিজয়ী নীল দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, এ নিরঙ্কুশ বিজয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকের। মুক্তিযুদ্ধের শক্তির পক্ষে যাদের আস্থা আছে। আমাদের প্রতিশ্রুতির ওপর শিক্ষকদের পূর্ণ বিশ্বাস থাকায় আমরা সবকটিতেই জয় লাভ করেছি। এই বিজয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়নে ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে।
নতুন কমিটির চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, শিক্ষকদের স্ট্যাটাস ধরে রাখা, তরুণ শিক্ষকদের স্কলারশিপ এর ব্যবস্থা এবং সেশন জটমুক্তের যে ধারাবাহিকতা আছে তা ধরে রাখা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। আমরা আশা করি, যেহেতু সরকারের শীর্ষ পর্যায় শিক্ষকদের নিয়ে ভাবেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও শিক্ষকবান্ধব, তাই আমরা এই চ্যালেঞ্জগুলো সহজে মোকাবেলা করতে পারব।’
নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ১৫০২, এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ২৬টি ভোট।
নির্বাচনে আওয়ামী পন্থী শিক্ষকরা নীল দল, বিএনপি-জামায়াতপন্থীরা সাদা দল ও প্রগতিবাদী শিক্ষকরা গোলাপী দল হিসেবে প্যানেলে অংশ নেন।
সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৫টি কার্যকরী পরিষদ পদের বিপরীতে তিনটি প্যানেলে মোট ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভোটার সংখ্যা ছিল ১৯৪০ জন।
মন্তব্য চালু নেই