৯২৭ কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ২০০ কোচ

যাত্রী সেবার মান বাড়াতে রেলের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০টি যাত্রীবাহী কোচ। মিটারগেজ (এমজি) যাত্রীবাহী এসব কোচ কিনতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯২৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে চীন থেকে পাওয়া যাবে ব্যয় ৭১৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আর সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ২১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। অনুমোদন পেলে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

সূত্র জানায়, চীনের এই ঋণ মূলত টেন্ডারার্স ফিন্যান্সিং। যার মানে হচ্ছে ঋণ প্রদানকারী সংস্থা বা যারা কাজ পাবে তারাই অর্থ জোগাড় করবে। এর মাধ্যমে নিম্নমানের কোচ সরবরাহের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রকল্পের আওতায় এমজি স্টেইনলেস স্টিলের এয়ারকন্ডিশন স্লিপার কোচ কেনা হবে ২৮টি। এমজি স্টেইনলেস স্টিল এয়ার কন্ডিশন চেয়ার কোচ কেনা হবে ৩৫টি। এছাড়া ৯৬টি শোভন কোচ, ২৬টি শোভন ক্যারেজ উইথ প্যান্ট্রি ও গার্ড ব্রেক এবং ১৫টি স্টেইনলেস স্টিল কম্পোজিট পাওয়ার কার কেনা হবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানে রেলওয়েতে এক হাজার ১৬৫টি এমজি যাত্রীবাহী কোচ রয়েছে। এর মধ্যে মেকানিক্যাল কোড অনুযায়ী আয়ুষ্কাল পার হওয়া ৪৫৬টি কোচসহ ৫৯১টি কোচ বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে চলাচল করছে। ফলে যাত্রীদের নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে রেলপথ মন্ত্রণালয় টেন্ডারার্স ফিন্যান্সিংয়ে এ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করে।

জানা গেছে, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকার লোকোমোটিভ সংগ্রহের প্রক্রিয়াও গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে জাইকার সহায়তায় ১১টি, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১০টি এবং ভারত সরকারের ঋণ সহায়তায় ১০টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই দশক ধরে লোকোমোটিভ, কোচ, ওয়াগন ক্রয়ের প্রকল্প নিয়েও বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রীবাহী কোচ সংকটের সমাধান হয়নি। মেরামতকৃত কোচের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও নতুন কোচ কেনার প্রকল্পও থেমে নেই।

চলমান ১০ প্রকল্পের মাধ্যমে মোট এক হাজার ১৬০টি লোকোমোটিভ, কোচ ও ওয়াগন কেনার কথা, যার জন্য মোট অর্থ বরাদ্দ রয়েছে ছয় হাজার ৩০০ কোটি টাকা। প্রকল্পগুলো ২০০৭ সালে ও ২০১০ সালে শুরু হয়েছে, কিন্তু আজও শেষ হচ্ছে না।



মন্তব্য চালু নেই