৭ বছরে ৮ ছাত্রী নিয়ে পালিয়েছেন এক শিক্ষক!

ভারতের গুজরাট রাজ্যের বড়োদরা জেলার বাসিন্দা ধবল কুমার। পেশায় স্কুলের অধ্যক্ষ। ২০০৩ সালে মুম্বাইয়ে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু বিয়ের ৬ মাসের মাথায় মারা যান স্ত্রী।

তারপর প্রেম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু সেই বিয়েও বেশিদিন টেকেনি। তাই অভিমানে নিজের এলাকা ছেড়ে ধবল চলে যান রাজকোট। একটি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সেই স্কুলের দুই ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান। এর মধ্যে একজনকে বিয়ে করেন, অন্যজনের সঙ্গে টাইম পাস করে ছেড়ে দেন।

কিন্তু সেখানেও কপাল ভাঙলো ধবল বাবুর। মেয়ের বাবার চাপাচাপিতে ভেঙে যায় সেই বিয়েও। তারপর আর পিছনে তাকান তিনি। নেমে পড়েন মেয়ে ভাগানোর কাজে। ২০০৮ সাল থেকে এই সাত বছরে তিনি মোট ৮ জনকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে পালিয়েছেন। তাও আবার নিজের ছাত্রী।

মেয়েদের পরিবার এবং পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন রাজ্যে। হরিয়ানা‚ পাঞ্জাব‚ হিমাচল প্রদেশ‚ চণ্ডীগড়সহ বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দেন তিনি। সব জায়গায় তিনি করেছেন শিক্ষকতা। আর সুযোগ বুঝেই ছাত্রী নিয়ে চম্পট!

তিন বছর আগে পাঞ্জাবের একটি নামী স্কুলের অধ্যক্ষও হন তিনি। সেখান থেকেও স্কুলের একাদশ শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে নিয়ে তিনি পালিয়ে যান। একজনকে পরিচয় দিতেন নিজের স্ত্রী বলে, অন্যজনকে শ্যালিকা!

অবশেষে গত বছর তিনি পুলিশের জালে ধরা পড়েন পাঞ্জাব থেকেই। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে মামলার কাজ।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া



মন্তব্য চালু নেই