৭ বছরে ১৮৯ কোটি বই পেয়েছে এরা

বছরের প্রথম দিনটি যেন ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের। এ দিনটির জন্য মুখিয়ে থাকে সবাই। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে একটু অবসরে তারা রোমাঞ্চিত হয় নতুন ক্লাসের জন্য। সে তো কেবল নতুন ক্লাসই নয়, সেই সাথে নতুন কক্ষ, একটু বড় হয়ে ওঠা এসব ভেবে রোমাঞ্চ জাগেই। আর নতুন বইয়ের গন্ধ, একটু উল্টেপাল্টে দেখা ভারি চমৎকার।

ছেলেমেয়েরা সবাই প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, এবতেদায়ি, মাধ্যমিক, দাখিল ও কারিগরি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল, এই সাত বছরের প্রথম দিনেই ১৮৯ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮৯৫টি পাঠ্যবই হাতে পেয়েছে এরা। মোট শিক্ষার্থী ২৬ কোটি ২ লাখ ২১ হাজার ৮৪ জন।

শুক্রবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল চত্বরে পাঠ্যবই উৎসবের উদ্বোধনকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের মেধার অধিকারী। তারা মেধার দিক দিয়ে দরিদ্র নয়। আগামীতে এই মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’

‘তোমাদেরকে নৈতিক মূল্যবোধ, সততা-নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের অধিকারী হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস তোমাদের জানতে হবে’, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন মন্ত্রী।

পরে রংবেরঙের বেলুন ও পায়রা ওড়ান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ছেলেমেয়েদের করতালিতে ভরে যায় উৎসব অঙ্গন।

২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশের সকল শিক্ষার্থীর কাছে বিনামূল্যে বই পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ সরকার।



মন্তব্য চালু নেই