৭ নভেম্বর স্মরণে সোহরাওয়ার্দীতে জনসভা করতে চায় বিএনপি

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের ঘটনা স্মরণে আগামী ৭ নভেম্বর বা তার পর দিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে চায় বিএনপি।

দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই আকাঙ্ক্ষার কথা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দিবসটি উপলক্ষে আমরা ৭ অথবা ৮ নভেম্বর জনসভা করতে চাই।’

ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেমন বাধা বিপত্তি ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাউন্সিল করছে। ঠিক তেমনি কোন প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই বিএনপি জনসভা করতে চায়। আশা করি বিএনপিকে ন্যূনতম এই অধিকারটুকু দেয়া হবে।’

দিবসটিকে বিএনপি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর ৪১ বছর আগের এই দিনটিতে নানা ঘটনা প্রবাহের পর ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা। সেই থেকে দিনটিকে নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করে আসছে জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দলটি।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানে গৃহবন্দি হন সে সময়ের সেনা প্রধান জিয়াউর রহমান। পরে পাল্টা অভ্যুত্থানে জিয়া মুক্ত হন ৭ নভেম্বর। এরপর জিয়া ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন, হন দেশের প্রথম সামরিক আইন প্রশাসক।

পরে সামরিক আইন প্রশাসক থেকে রাষ্ট্রপতি হয়ে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক জাসদ এই দিনটিকে ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান’ দিবস হিসেবে পালন করে। ১৯৭৫ সালের এই দিনটিতে সেনা বাহিনীর জওয়ানদেরকে ব্যবহার করে বিপ্লব করার চেষ্টায় ছিল এই দলটিই। সেদিন বিপুল পরিমাণ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে জওয়ানরা।

আওয়ামী লীগ এই দিনটিকে পালন করে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে।

যেসব কর্মসূচি থাকছে

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ৪১ বছর পূর্তিতেও নানা আয়োজন রাখবে বিএনপি। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ৭ নভেম্বর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সকাল ৭ টায় দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হবে। ওইদিন সকাল ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এছাড়া দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ১০ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই