৭ জনের জীবন বাঁচিয়ে সাহসিকতার সর্বোচ্চ খেতাব পেলেন এই নারী ক্যাপ্টেন

সমুদ্রে সাতজন জেলের প্রাণ বাঁচিয়ে জাহাজের নারী ক্যাপ্টেন রাধিকা মেনন পেলেন সাহসিকতার জন্য সর্বোচ্চ সম্মাননা। তিনিই একমাত্র মহিলা যিনি এই সম্মাননা পেয়েছেন।

গত বছর জুন মাসে অন্ধ্রের উপকূলে ডুবে যায় একটি জেলে নৌকা। ইঞ্জিন বিকল হয়ে নৌকাটি ডুবে গেলে বিপদসঙ্কুল সাগরে ভাসছিলেন সাতজন জেলে।

বঙ্গোপসাগরে এক সপ্তাহ ভেসে বেড়ানোর পর তাদের উদ্ধার করে একটি তেলবাহী জাহাজ যেটির ক্যাপ্টেন ছিলেন রাধিকা মেনন।

আন্তর্জাতিক ম্যারিটাইম সংস্থা আইএমও সোমবার লন্ডনে তাকে অসীম সাহসিকতার জন্য সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করেছে।

ভারতের বাণিজ্যিক জাহাজের প্রথম নারী ক্যাপ্টেন রাধিকা মেনন।

কিন্তু তার থেকেও বড় হল তিনিই একমাত্র মহিলা যিনি নিজের জীবনের মায়া তুচ্ছ করে সাগরে অন্যদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য ঝুঁকি নিয়ে এই খেতাব পেলেন।

সমুদ্রে নয় মিটার উঁচু ঢেউ আর ৬০-৭০ নট বাতাসের বেগের মধ্যে তিনি তেলবাহী জাহাজ নিয়ে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেন। বিশাল ট্যাঙ্কার থেকে ছোট নৌকা সাগরে নামিয়ে তিনবারের চেষ্টায় তিনি জেলেদের টেনে তোলেন।

ক্যাপ্টেন মেনন বলেন, ‘সাগর ছিল খুবই -খুবই উত্তাল, একটা নিম্নচাপও ছিল, যা দু তিনদিন ধরে চলছিল। এরপর ওই নিম্নচাপ খুবই গভীর হয়ে ওঠে। ’

‘কাজটা খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। আমি যদি না করি, ওই জেলেদের কারোর বাঁচার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না।’

রাধিকা বলেন কাজের বেলায় ছেলে বা মেয়ে বলে কিছু নেই। ‘আপনি যদি জানেন একটা সমস্যা কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে, সেটা মোকাবেলায় ছেলে বা মেয়ে একইভাবে এগুবে।’ -বিবিসি।



মন্তব্য চালু নেই