৭০০ মেয়ের ‘কন্যাদান’ করেছেন গুজরাটের হীরা ব্যবসায়ী

দশ বা বিশ নয়, ৭০০ মেয়ের বিয়েতে কন্যাদান করেছেন তিনি। গুজরাটের হীরা ব্যবসায়ী মহেশ সেভানি এই কাণ্ডটি ঘটিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। যদিও ওই ৭০০ মেয়ের সঙ্গে তার রক্তের সম্পর্ক নেই, রয়েছে স্নেহ আর মানবিকতার বন্ধন। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

২০১২ সাল থেকে দরিদ্র পরিবারের পিতৃহারা মেয়েদের গণবিয়ের আয়োজন করে আসছেন ভারতের এই ধনকুবের ব্যবসায়ী। চলতি বছরের ২৫ ডিসেম্বর তিনি কন্যাদান করেছেন ২৩৬ মেয়ের বিয়েতে। আর প্রত্যেক ‘কন্যা’কে দিয়েছেন চমৎকার সব উপহার। সেই তালিকায় রংবেরঙের পোশাক এবং স্বর্ণের অলঙ্কারের সাথে রয়েছে সোফা, খাট ও অন্যান্য আসবাবপত্র। ছিল নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা। চার বছর আগে যে উদ্যোগ তিনি নিয়েছিলেন, তারই আওতায় এতদিনে বিয়ের পিঁড়িতে বসা পিতৃহীন মেয়েদের সংখ্যা বেড়ে সাতশ’ ছুঁয়েছে। আর এ বছরটা নাকি সেভানির কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এবার গণবিয়ের আসরে নিজের দুই পুত্রেরও বিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাই নিজেই উল্লাসে জানিয়ে বলেছেন, এ বছর সাতপাকে বাঁধা পড়ার সংখ্যাটা ২৩৬ নয়, ২৩৮।

এই অভিনব উদ্যোগ প্রসঙ্গে সেভানি জানান, ২০০৮ সালে নিজের সংস্থার এক কর্মচারীর মেয়ের বিয়ের নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে ওই কর্মচারী খুবই আনন্দে ছিলেন। কিন্তু বিয়ের মাত্র একদিন আগে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি সেভানির মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। ওই কর্মচারীর অকালমৃত্যুতে তিনি তার মেয়ের বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছিলেন। তখন থেকেই সিদ্ধান্ত নেন যে, প্রতি বছর পিতৃহারা, দরিদ্র মেয়েদের বিয়ের সব দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ব্যবসায়ীর এই মানবিক উদ্যোগ যে প্রশংসার দাবি রাখে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।



মন্তব্য চালু নেই