৬ সন্তানকে হত্যায় প্রেসিডেন্টের সাহায্য চাইছেন বাবা

নিজের ছয় সন্তানকে মেরে ফেলতে প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির কাছে আবেদন জানাতে যাচ্ছেন ভারতীয় এক বাবা। না, তাকে নিষ্ঠুর ভাবার কোনো কারণ নেই। বিরল রোগে ভুগতে থাকা শিশুদের চিকিৎসাসহ নানা প্রয়োজন মেটাতে না পারার ব্যর্থতা থেকে মুক্তি পেতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ৪২ বছরের ওই আসহায় ব্যক্তি ভারতের আগ্রার বাসিন্দা।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি’তে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই ব্যক্তির ছেলেমেয়ের সংখ্যা আট। এদের ছয় জনই ‘কানাভান’ রোগে ভুগছে। এই রোগে আক্রান্তদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয় না এবং এক পর্যায়ে তারা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়। নাজিরের ওই ছয় ছেলেমেয়েও পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছে।

এই অস্বাভাবিক শিশুদের ভার বহন করতে পারছেন না বাবা নাজির। তিনি বলেন,‘আমি এখন খুব ক্লান্ত। আর ওদের দেখভাল করতে পারছি না। কীভাবে করব বলুন। আমি একজন সামান্য মিষ্টির দোকানদার। নিজের সামান্য রোজগার দিয়ে তো কুলিয়ে উঠতে পারছি না।’

এসব অথর্ব শিশুদের নিয়ে চিন্তিত মা তাবাসসুমও। তিনি বলেন,‘আমার শিশুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। ওরা অন্য শিশুদের মত খেলাধূলাও করতে চায়। কিন্তু ওদের যে সে ক্ষমতা নেই।’ তার আট সন্তানের সবার বড় এক ছেলে আর মেয়েই কেবল স্বাভাবিক।

এসব কারণে এখন সন্তানদের মেরে ফেলার চিন্তা করছেন নাজির। তিনি এ বিষয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি লেখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের অনুমতি না দিলে তিনি তার সন্তানদের চিকিৎসার জন্য সরকারের সহযোগিতার আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।

২০১১ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দুরারোগ্য ব্যাধীতে আক্রান্তদের মৃত্যুর অধিকার সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা অনুমোদিন করেছিল। তবে ওই নির্দেশিকায় নাজিরের ছয় সন্তান পড়ে কীনা তা জানা যায়নি।

এদিকে, আগ্রার অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট রাজেশ শ্রীবাস্তব এনডিটিভি’কে বলেছেন, ইতিমধ্যে সরকারি কর্মকর্তারা নাজিরের ছয় সন্তানকে দেখতে তার বাড়ি গিয়েছিল। তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।



মন্তব্য চালু নেই