৬ লাখপতি ভিক্ষুকের গল্প! (ছবি সহ)

টাকা রোজগারের অনেক পথ আছে। পথ ভালো কি খারাপ সেটা পরের প্রশ্ন, পথে টাকা আছে কিনা সেটাই হচ্ছে কথা। ভিক্ষাবৃত্তি কি টাকা কামানোর ভালো পথ? কারণ মানুষের কাছে হাত পাতলে কেউ ধমক দিবে আবার কেউ হয়তো দয়া দেখিয়ে দুই টাকা দেবে। তা দিয়ে কি হবে? কয় টাকা আসবে এভাবে?

মানুষের এই জাতীয় ধারণার কারণেই ভিক্ষাবৃত্তিতে প্রতিযোগিতা কম। মানুষের কাছে হাত পাতা কঠিন ব্যাপার। যারা এই কঠিন ব্যাপারটা সহজভাবে নিয়েছেন, তারাই দেখা পেয়েছেন অমূল্য রতন। ভিক্ষা করে বনে গেছেন লাখপতি। ভিক্ষার টাকায় নিজেরা বাড়ি বানিয়েছেন, করেছেন ব্যাংক ব্যালেন্স। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এই জাতীয় ভিক্ষুকদের দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই।

সব পেশাতেই বুদ্ধিমান লোক রয়েছে। এরা অন্যদের পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে সামনে। যে ভিক্ষুকরা ভিক্ষা করে এমন ভেলকি দেখিয়েছেন তারা ধরতে পেরেছেন ঠিক কি করলে মানুষ ভিক্ষা দেয়। মানুষের আবেগের জায়গাটা পুঁজি করে তারা নিপুনভাবে ভেক ধরেন। চুপচাপ রাস্তার ধুলোবালিতে বসে শতচ্ছিন্ন বস্ত্রে আয় করেন লাখ লাখ টাকা। রাতের বেলা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যান বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বাসায়। ঢাকাতেও এরই মধ্যে এমন কিছু আলিশান ভিক্ষুক আবিষ্কার করা হয়েছে। এবার কলকাতার এমন কিছু লাখপতি ভিক্ষুকের বর্ণনা ছবিসহ নিচে তুলে ধরা হল:

কৃষ্ণ কুমার গিটে : মুম্বাইয়ের চারনি রোড এলাকায় গেলে দেখা মিলবে কৃষ্ণ কুমারের। ভিক্ষাবৃত্তি করে তিনি দৈনিক ১৫০০ টাকা আয় করেন। পরিবার নিয়ে বাস করেন নাল্লাসপারার একটি বিলাসবহুল এপার্টমেন্টে।

download (4)

 

ভরত জৈন : ভারতের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক তিনি। ৪৯ বছরের এই ভিক্ষুকের ভরতের মুম্বাইয়ের প্যারেল এলাকায় রয়েছে দুটি ফ্ল্যাট বাসা। এগুলির প্রত্যেকটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা করে। তার মাসিক আয় ৬০ হাজার টাকার কাছাকাছি।

download (3)

সারভাতিয়া দেবী : পাটনায় অশোক সিনেমা হলের পিছনে ভিক্ষা করেন তিনি। তিনিই ভারতের তৃতীয় ধনী ভিক্ষুক। বছরে ৩৬ হাজার টাকার এলআইসি প্রিমিয়াম দেন তিনি।

download (2)

শম্ভুজি কোলে : চতুর্থের স্থানটি দখল করেছেন ইনি। ভিক্ষা করার জন্য মুম্বইয়ের সুবারবান এলাকাই সবচেয়ে পছন্দ তাঁর। শম্ভুজির দৈনিক রোজগার প্রায় এক হাজার টাকা। শোলাপুরে রয়েছে তাঁর নিজস্ব বাড়িও। শম্ভূজির মতে, এই পেশা তাঁর খুবই ভাল লাগে। কারণ এখানে কোনও ইনভেস্টমেন্ট নেই।

download (1)

লক্ষ্মী দাশ : তাঁর প্রথম ভিক্ষুক জীবনের শুরু কলকাতা থেকে। পোলিওতে দুইপা অকেজো হয়ে গেছে। ১৯৬৪ সাল থেকে ভিক্ষাবৃত্তিতে আছেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। ৫০ বছরের লক্ষ্মীদেবীর বিপুল ব্যাংক ব্যালেন্স। ব্যাংক থেকে তাকে ক্রেডিট কার্ড পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।

download (6)

মৌসা ওরফে মালানা : তিনি রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে। মালানার একটি অটো রিক্সা রয়েছে। প্রতিদিন সকালে অটো চালিয়ে ভিক্ষার জায়গায় পৌঁছান তিনি। পোশাক পরিবর্তন করে ভিক্ষা করতে বসেন। ৮-১০ ঘণ্টা তার ডিউটি। এই করেই বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি।



মন্তব্য চালু নেই