৬ দশক পর ফের খুলনা-কলকাতা ট্রেন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে ট্রেন চলতো কলকাতা থেকে খুলনা পর্যন্ত। অনেক দিন বন্ধ থাকার পর আবারো সেই রুট দিয়েই যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে চায় দুই বাংলা। বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে রেল যোগাযোগের অবকাঠামো প্রায় ১০০ বছর ধরেই রয়েছে। ওই লাইন দিয়ে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ ও আসামমুখি ট্রেন চলাচল করতো। কিন্তু দেশ ভাগের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখনো ওই রুটে চলাচল করে মালগাড়ি।

নতুন করে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার কলকাতায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশ রেলের দুই কর্মকর্তা অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি-অপারেশন) শাহ জহিরুল ইসলাম ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক খলিলুর রহমান (এডিজি-রোলিং স্টক)। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের এক কর্মককর্তাও রয়েছেন তাদের সঙ্গে।

এ কর্মকর্তারা সোমবার ও মঙ্গলবার ভারতীয় রেল বোর্ডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পেট্রাপোল-বেনাপোল পুরোনো রুটটিকে নতুনভাবে চালুর জন্য আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে মৈত্রী এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা বাড়ানো নিয়েই এ বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে কলকাতা-খুলনা প্রস্তাবিত ট্রেনটিতে চলন্ত অবস্থায় কামরার মধ্যেই যাত্রীদের পাসপোর্ট-ভিসা পরীক্ষার চিন্তা করা হচ্ছে। এটি হলে সময় বেঁচে যাবে কয়েক ঘণ্টা। বর্তমানে মৈত্রী এক্সপ্রেসে পাসপোর্ট-ভিসা পরীক্ষার জন্য সীমান্তের দু’দিকে অনেকটা সময় ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।

বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের রেল কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই কয়েক দফা আলোচনা করেছে। প্রাথমিক আলোচনা সম্পূর্ণ হলে দিল্লিতে আবার সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হবে। কারণ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার দু’দেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।

এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. তাফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘রেলকে গণমুখি করতে পর্যাক্রমে কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীও রেল উন্নয়নে বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে বলেছেন, সে আলোকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ভারত-বাংলাদেশ রেল চলাচল আগেও ছিল আগামীতেও থাকবে। বিশেষ করে খুলনা-কলকাতা ট্রেন চালু হলে যাত্রী সাধারণ দ্রুত চলাচল করতে পারবে।’



মন্তব্য চালু নেই