৬টি অদ্ভুত প্রাণী; যাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে আপনি জানেন না

আমাদের দেখা বা জানার বাহিরে অসংখ্য প্রাণী এই পৃথিবীর স্থলভাগ কিংবা জলের অভ্যন্তরে বাস করে। এগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে হয়ত কোনো কাল্পনিক সিনেমা হয়ে থাকে। কখনো কখনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ছাড়াই আমার বিশ্বাস করি। আবার কিছু প্রাণীর অস্তিত্ব সম্পর্কে আমরা লোক সাহিত্য থেকে জানতে পারি। যা হোক, এই রকম অদ্ভুত প্রাণীর দেখা কিন্তু মাঝে মাঝেই পাওয়া যায় পৃথিবীর প্রত্যন্ত কোনো অঞ্চলে। এমনই কিছু প্রাণী সম্পর্কে আজ আপনাদের জানানোর চেষ্টা করবো।

pacu fish

প্যাকু মাছ

প্যাকু মাছ সাধারণত অ্যামাজন অঞ্চলে এবং পাপুয়া নিউ গিনিতে পাওয়া যায়। এই মিঠাপানির মাছ ‘testicle eating’ fish বা শুক্রাশয় খাদক মাছ নামেও পরিচিত। সাধারণত ফল, সুপারি আর ছোট মাছই এগুলোর খাদ্য তালিকায় থাকে। কিন্তু জানা যায়, মানুষের (পুরুষ) শুক্রাশয় বা অণ্ডকোষ এ মাছের অত্যন্ত প্রিয় খাবার।

okapi

 

ওকাপি

ওকাপি দেখতে প্রায় হুবহু জেব্রার মতো হলেও, এটার কিন্তু জিরাফের সমগোত্রীয় প্রাণী। সাধারণত কঙ্গোতে এই প্রাণী দেখা যায়।

payura

জীবন্ত পাথর বা পাইয়ুরা চিলেন্সিস

দেখতে সাধারণ পাথরের মতোই। কিন্তু এগুলো আসলে জীবন্ত প্রাণী। পেরু ও চিলির উপকূলে সাধারণত এগুলোর দেখা পাওয়া যায়। লোকজন পাথর ভেবে ভুল করে সাগর থেকে সংগ্রহ করে। পরে কাটলে মাংশ ও চামড়া পাওয়া যায়। পাইয়ুরা উভলিঙ্গ প্রাণী। প্রতিটি পাইয়ুরার মধ্যে পুরুষ ও স্ত্রী জনন অঙ্গ থাকে।

panda ant

পান্ডা পিঁপড়া

এই অদ্ভুত প্রাণী দেখতে পিঁপড়ার মতো হলেও, এগুলো আসলে পিঁপড়া না, ভিমরুল। পাখা না থাকায় এগুলোকে পিঁপড়া বলে অনেকেই ভুল করে থাকেন।পান্ডার মতো সাদাকালো রঙ বলে এদেরকে নাম পান্ডা পিঁপড়া বলা হয়ে থাকে।

Leaf

লিফ টেইলড গ্যাকু

দেখতে কোনো গাছের মতো মনে হলেও এগুলো আসলে গাছ না। এই প্রাণীর ছদ্মবেশ ধারণের এক অপূর্ব ক্ষমতা রয়েছে। নামের সাথে মিল রেখেই এর রয়েছে শুকনো পাতার মতো লেজ। সাধারণত মাদাগাস্কার সহ আফ্রিকান অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায়।

Ankuli watsui

অ্যাংকুলি ওয়াটসুই

তর্কসাপেক্ষে বলা যায়, এগুলো গবাদি পশু শ্রেণীর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয়। গবাদি পশুদের মধ্যে অ্যাংকুলি ওয়াটসুই তাদের লম্বা শিংয়ের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছে। এদের শিং গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত আট ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। সাধারণত আফ্রিকায় এই প্রাণীর দেখা পাওয়া যায়।

সূত্র: ললওত।



মন্তব্য চালু নেই