৫টির বেশি সিম নয়, নতুন গ্রাহকদের জন্য

যারা মোবাইলফোনের নতুন গ্রাহক হবেন তারা একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে ৫টির বেশি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন না। প্রি-পেইড ও পোস্ট-পেইড মিলিয়ে এই সিমের সংখ্যাসীমা নির্দিষ্ট করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

তারানা হালিম বলেন, আমরা গ্রাহকদের ভোগান্তির মধ্যে ফেলতে চাই না। যারা আগে ২০টি পর্যন্ত সিম একটি এনআইডির বিপরীতে নিবন্ধন করেছেন, তারা অনেক কষ্ট স্বীকার করে কাজটি করেছেন। তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু তাদের আর কষ্ট দিতে চাই না। যারা সিম নিবন্ধন করে ফেলেছেন, তাদের সিম সংখ্যা কমানো হবে না। যিনি যে পরিমাণ সিম নিবন্ধন করেছেন তা-ই থাকবে। নতুন গ্রাহকদের বেলায় এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

তারানা হালিম আরও বলেন, জনভোগান্তির বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। যারা একবার সিম নিবন্ধন করেছেন, তাদের আমি বলতে পারি না, আপনারা আসুন, সিম ডিঅ্যাক্টিভ করে যান।তাদের যেন কোনও সমস্যা না হয় এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি।

প্রসঙ্গত, সদ্যসমাপ্ত জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে ডাকও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ২০টি নয়, একজন সর্বোচ্চ ৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন। যাদের সিম সংখ্যা বেশি হবে তাদের এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে এবং ওই সিমগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে কেউ চাইলে অন্য কারও নামে (যাদের এনআইডি আছে এবং ৫টি সিম নিবন্ধন হয়নি) ওই সিমগুলো আবারও নিবন্ধন করতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী বললেন, ধরা যাক কেউ হয়তো নির্দিষ্ট সময়ে (৩১ মের মধ্যে) তিনটি সিম নিবন্ধন করেছিলেন। তিনি আরও সিম কিনতে চান। কিন্তু নতুন নিয়মে তিনি আর দুটির বেশি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন না।

অন্যদিকে কারও হয়তো এনআইডি ছিল না, তার মানে তিনি নিজের নামে সিম নিবন্ধন করতে পারেননি। সম্প্রতি তিনি এনআইডি পেয়েছেন এবং নিজের ব্যবহারের জন্য সিম কিনতে চান। ওই নতুন গ্রাহক তার ব্যবহারের জন্য ৫টির বেশি সিম কিনতে পারবেন না বা রাখতে পারবেন না। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যারা ৫টির বেশি (২০টি পর্যন্ত) সিম নিবন্ধন করে ফেলেছেন, তাদের সিম সংখ্যা কমানো হবে না। গ্রাহকদের তিনি আর এ বিষয়ে কষ্ট দিতে চান না।



মন্তব্য চালু নেই