৪০০ পেরিয়ে ভারত

দারুণ সব নান্দনিক শট খেলে আগের দিনই তুলে নিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। আর দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ওয়ানডে মেজাজে খেলে সেটাকে ১৫০ এ নিয়ে গেলেন কোহলি। নিজের অর্ধশতও তুলে নিলেন রাহানে। দুইজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের উপর ভর ৪০০ রান পেরিয়ে গেল ভারত। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৪১৩ রান।

তবে প্রথমদিনের শুরুটা দারুণ করেছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ বলেই পেয়েছেন উইকেট। তবে এরপর বাকি সময়গুলো ছিল শুধুই ভারতের। বৃহস্পতিবার হায়দারাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। তাসকিনের অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরে করা বলকে ড্রাইভ করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন লোকেশ রাহুল। ব্যাটের কানায় পর আবার পায়ে লেগে স্ট্যাম্প ভাঙ্গে। ফলে ভারত শিবিরে প্রথম আঘাত হানে বাংলাদেশ।

রাহুলের বিদায়ের পর চেতশ্বর পুজারাকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গিরে তোলেন মুরালি বিজয়। দ্বিতীয় উইকেটে এ জুটি ১৭৮ রান সংগ্রহ করে। ভয়ঙ্কর হওয়া এ জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫১তম ওভারের পঞ্চম বলটি পুজারার ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে পেছনে গেলে তা প্রথম দফায় ধরতে পারেননি উইকেটরক্ষক মুশফিক। তবে তার প্যাডে লেগে বল লাফিয়ে উঠলে তা তালুবন্দি করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন পুজারা। ১৭৭ বলে ৯টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি।

পুজারার আউটের পর উইকেটে নামেন বর্তমান সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান ও ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বিজয়ের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক। দলীয় ২৩৪ রানে মুরালি বিজয়কে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। লেগ স্ট্যাম্পে থাকা বল সুইপ করতে গিয়ে মিস করলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। তব এর আগেই তুলে নেন নবম সেঞ্চুরি। ১৬০ বলে ১২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০৮ রান করেন এ ওপেনার।

বিজয়ের বিদায়ের পর আজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে দলের হাল ধরেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১২২* রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান। ১১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। ১৪১ বল মোকাবেলা করে নিজের ইনিংসটি সাজান ১২টি চারের সাহায্যে। আর ৪৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন রাহানে। বাংলাদেশের পক্ষে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, মিরাজ ও তাইজুল।

তবে দিনটি আরও ভালো হতে পারতো বাংলাদেশের। ১০তম ওভারেই ফিরতে পারতেন পুজারা। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে স্লিপে ক্যাচ ওঠে। তবে সে বল ধরার কোনো চেষ্টাই করেননি মুশফিক। এরপর ১৫তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সে ওভারে পুজারাকে দুই দুইবার আউট করার সুযোগ পেয়েও তা হাতছাড়া করেন সাকিব আল হাসান। যদিও দু’টো ক্যাচই ছিল দুরূহ। সে ওভারের তৃতীয় ও শেষ বলে স্লিপে ক্যাচ ওঠা ক্যাচদু’টো ছাড়েন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।

তবে সবচেয়ে বড় সুযোগটি তারা মিস করে ১৯তম ওভারে। সে ওভারটিও করেছিলেন মিরাজ। মুরালি বিজয় সে বলটি স্কোয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে দ্রুত রান নিতে গিয়েছিলেন। তবে তার আগে ভুল বোঝাবোঝির কারণে কিপিং প্রান্তে চলে আসেন দুই ব্যাটসম্যান। এ সময় ঝাঁপিয়ে পরে দারুণ ফিল্ডিং দিয়ে বোলিং প্রান্তে বল দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। তবে সে বল তালুবন্দি করতে না পারায় সহজ সুযোগ মিস করে বাংলাদেশ। এছাড়াও পুরো ম্যাচেই ছিল মিস ফিল্ডিংয়ের ছড়াছড়ি।



মন্তব্য চালু নেই