৩-১ গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমার্ধে ৩-১ গোলে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। রনি গোল করার পর সমতায় ফেরে শ্রীলঙ্কা। কয়েক মিনিট বাদে ইয়াসিনের হেডে ব্যবধান বাড়ায় স্বাগতিকরা। এদিন শুরু থেকে আক্রমণাত্মক শুরু করে মারুফুলের ছেলেরা। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের মাঝমাঠ বেশ নজর কেড়েছে। সেন্টার মিডফিল্ডে মামুনুল-জামাল প্রচুর পাস খেলে শ্রীলঙ্কার ডিফেন্সকে ভড়কে দেন। অন্যদিকে দুই আউট সাইড মিডফিল্ডারের মধ্যে ডান দিকে খেলা জাহিদ হোসেন লঙ্কানদের রক্ষণে বারবার ত্রাস ছড়ালেও বাঁ দিকের সোহেল রানা ছিলেন নিষ্প্রভ।

৩ মিনিটের মাথায় আউট সাইড মিডফিল্ড থেকে ওভারল্যাপ করে উপরে উঠে যান জাহিদ হোসেন। বল বক্সে প্লেসও করেন। কিন্তু ফরওয়ার্ড জীবন টোকা দিতে ব্যর্থ হন।

১১তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে দারুণ এক চিপে ডান উইংয়ে বল তুলে দেন জামাল ভুঁইয়া। ভালো পজিশনে ছিলেন জাহিদ। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হন। বল ঠিকমতো ধরতে পারলে গোলের সুযোগ পেত বাংলাদেশ।

১৭তম মিনিটে রনির গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ওই আউট সাইড মিডফিল্ড থেকে বল নিয়ে উপরে ওঠেন জাহিদ। মাটি কামড়ানো পাসে বল বক্সে প্লেস করেন। বাম দিক থেকে বলে চলে যান রনি। টোকা দিয়ে গোল আদায় করে নেন।

২০ মিনিটের মাথায় নাসিরের ফাউলে পেনাল্টি পায় শ্রীলঙ্কা। দৃষ্টিকটু ভুল করেন ‘অভিজ্ঞ’ নাসির। আগুয়ান ফরওয়ার্ডকে পেছন থেকে পায়ে মারেন তিনি। শ্রীলঙ্কার স্ট্রাইকার গোলরক্ষক সোহেলকে বাম দিকে পাঠিয়ে দলকে সমতায় ফেরান।

২৩তম মিনিটে মামুনুলের কর্নার থেকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় পোস্টের আকাশে বল তুলে দেন মামুনুল। সোহেল লাফিয়ে বলের নাগাল না পেলে তা চলে যায় ইয়াসিনের মাথায়। কোমর নিচু করে আলতো হেডে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।

৩৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন নাসিরুল ইসলাম। লঙ্কানদের বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে মামুনুলের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান খেলে বক্সে ঢুকে পড়েন। মামুনুল টোকা দিয়ে বল বক্সে রাখেন। ততক্ষণে গোলরক্ষক বলে চলে আসার চেষ্টা করেন। গোল খালি! মামুনুলের টোকায় একটু জোর হয়ে যায়। বলের নাগাল পেতে ব্যর্থ হন নাসিরুল। তিনি বলে যেতে পারলে গোল পেতে পারত বাংলাদেশ।

৪৩তম মিনিটে ফের ব্যবধান বাড়ায় বাংলাদেশ। বক্সের ডান দিকে সোহেল রানা বল নিয়ে ঢোকার সময় হাত দিয়ে বল ঠেকান লঙ্কান ডিফেন্ডার। সেট পিস নিতে এগিয়ে আসেন জাহিদ। ডান পায়ের শটে শ্রীলঙ্কার মানবদেয়াল পার করেন। তরুণ স্ট্রাইকার জীবন ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে গোল আদায় করেন।



মন্তব্য চালু নেই