৩ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আড়াই ফুট মা

সন্তান জন্ম দেওয়ায় এত সুখ! বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মায়ের কাহিনী শুনলেও যেন বিশ্বাস হতে চায় না। জীবনের সেরা উপহারকে পেতে বার বার জীবনের ঝুঁকি নিতে রাজি হয়েছেন তিনি। স্টেসি হেরাল্ড। তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি।

স্টেসি হোরাল্ড থাকেন আমেরিকার কেনটাকিতে। অস্টিওজেনেসিস ইমপারফেকটা নামে এক বিরল জিনঘটিত অসুখে আক্রান্ত ছিলেন স্টেসি। রোগের জন্য তাঁর স্বাভাবিক উচ্চতা বাড়েনি বয়সের সঙ্গে।

তাঁর উচ্চতা মাত্র ২ ফুট ৪ ইঞ্চি, অর্থাৎ আড়াই ফুটের চেয়েও ২ ইঞ্চি কম। এমন উচ্চতায় মা হওয়া সত্যিই কঠিন বিষয়। প্রথমত, গর্ভধারণই ছিল কঠিন। তা ছাড়া সন্তানধারণে মায়ের সমস্যার পাশাপাশি গর্ভস্থ সন্তানের শারীরিক সমস্যাও হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন চিকিৎসকরা। তবে এ সব কিছুকেই পাত্তা দেননি স্টেসি। মা হওয়ার অদম্য ইচ্ছা তাঁকে বার বার মা হওয়ার পথের সমস্ত বাধা অতিক্রম করার জোর জুগিয়েছে।

ও এক ছেলে। প্রতি বারই গর্ভাবস্থার শুরুতে তাঁকে সাবধান করেছেন চিকিৎসকরা। সন্তানের জন্ম দেওয়ার ধকল স্টেসির ছোট্ট শরীর নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। তবুও মাতৃত্বের স্বপ্ন তাঁকে বার বার জিতিয়ে দিয়েছে।

স্টেসির সঙ্গে তাঁর স্বামী উইলের দেখা হয় ২০০০ সালে। চার বছর প্রেম করার পরে তাঁদের বিয়ে হয়। তখন সবাই বলেছিল, এমন দাম্পত্য কখনও সন্তানের জন্ম দিতে পারবে না। কিন্তু সে সব ভবিষ্যতবাণীকে পাত্তা না দিয়ে স্টেসি আর উইলের দাম্পত্য এগিয়ে চলেছে।

প্রথম সন্তান মেয়ে কাটেরি মাত্র ২৮ সপ্তাহে জন্ম নেয়। মেজো মেয়ে মায়াকার জন্ম দেওয়ার সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন স্টেসি। আর ছোট ছেলে মালাচির বাঁচার কোন সম্ভাবানই ছিল না। শেষ রক্ষা হলেও স্টেসির শরীরের বিরল অসুখ ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর তৃতীয় সন্তানের মধ্যেও। তবুও তিন সন্তান আর এক রাশি সুখ-দুঃখকে সম্বল করে স্টেসি আর উইলের সংসার চলছে।



মন্তব্য চালু নেই